মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল শনিবার বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোটের শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড করে ‘ডামি সরকার’ আবারও প্রমাণ করলো, তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধশক্তি। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মসূচি ছিল না। সভ্য গণতান্ত্রিক বিশ্বে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে স্বীকৃতি তা আজ বাংলাদেশে ভূলুণ্ঠিত। সভা-সমাবেশ সংবিধান স্বীকৃত, অথচ এই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সেই সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডামি নির্বাচনের পর সরকার আরও বেশি ক্ষুব্ধ ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, গণতন্ত্রের লেবাসে ফ্যাসিবাদ আরও আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিমত পোষণ গণতন্ত্রের অপরিহার্য উপাদান। যে সমাজে ন্যূনতম গণতন্ত্র আছে সেখানে ভিন্নমত প্রকাশে বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু আওয়ামী সরকার ভিন্নমত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে রাষ্ট্রীয় পেশী-শক্তি দিয়ে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করছে, দুঃশাসন যে প্রকট রূপ ধারণ করেছে-এটিই তার নমুনা। বাক-স্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। তবে বলপ্রয়োগ ও ভয় উৎপাদন করে দীর্ঘদিন জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না।
গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে স্বৈরাচারী সরকারের কোনো দায় থাকে না। বরং গণতন্ত্রকে অস্বীকার করার সব থেকে বেশি সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতি সমাধিস্থ করে কতৃর্ত্ববাদের নতুন আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোটের কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড করা অগণতান্ত্রিক, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও সরকারের ভিন্নমত দলনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। আমি আইনশৃঙ্খলাা বাহিনীর আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।