দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেশীয় বা জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটি বলছে, এটি বাস্তবায়িত হলে, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) প্রকাশিত হয় ইউজিসির ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২১। প্রতিবেদনটি সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে দেয় ইউজিসি।
জাতীয় র্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে ইউজিসির সুপারিশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আদলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য একটি র্যাঙ্কিংব্যবস্থা প্রবর্তনে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপক বিস্তৃতি ও সম্প্রসারণ ঘটেছে। নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা জরুরি। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত ও তা বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা যুগের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে পারবে এবং এর ফলে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সম্মাজনক অবস্থান নিশ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান থাকে পেছনের দিকে। গত বছরের ৮ জুন যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং-২০২৩ প্রকাশ করে। সেখানে বিশ্বের ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায়নি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, ৮০১ থেকে ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
এছাড়া গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ১৫১তম। তবে ওই তালিকায় শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও পাকিস্তানের তিনটি, ভারতের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।