দেশের উন্নয়নে দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই টেকনিক্যাল শিক্ষা আরও দরকার বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিকল্পনা।
আগারগাঁও বিনিয়োগ বোর্ডের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরীন আফরোজ। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
এম এ মান্নান বলেন, রাজনীতি অর্থনীতি খুব কাছাকাছি। এই মুহূর্তে প্রধান কাজ উন্নয়ন। অনেক সমস্যা আছে, দক্ষতা শুধু দৈহিক নয়, মানসিকভাবে দক্ষ হতে হবে। আমরা আমাদের ভালো মন্দ বুঝি, নিজেরাই নিজেদের পথ ঠিক করব। লাখো শহীদদের ত্যাগে এই দেশ আমরা গড়তে অবশ্যই পারব। বিশ্বের যারা আমাদের বন্ধু আছে, তাদের কাছে আবেদন আমাদের কাজটা আমাদের করতে দিন। আমরা আমাদের বন্ধুদের কথাও শুনব।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক পড়াশোনা করেছি যেটা বাস্তবে কাজে আসেনি। এর চেয়ে বাস্তব শিক্ষার খুব দরকার। টেকনিক্যাল শিক্ষা আরও দরকার। আরও ফিজিক্স, আরও কেমিস্ট্রি, আরও অংক বিষয়ে পড়তে হবে। বাস্তব কাজ শেখা খুব জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের যে সম্পদ আছে তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। এর জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার।
তিনি আরও বলেন, বলা হয় বৈষম্য বাড়ছে, যার কাছে মেধা আছে অর্থ আছে দক্ষতা আছে তার কদর আরও বেড়েছে। আমাদের যন্ত্রপাতি সুযোগ সুবিধা সবই সরকার দিচ্ছে এসব দক্ষতা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে। সময় এখন আমাদের যুবদের।
মন্ত্রী বলেন, এনএসডিএ সরকারের অনেক উদ্যোগের মতো অন্যতম। আমরা পারি, আমরা পেরেছি এই বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছানো দরকার। পদ্মাসেতুসহ অনেক কিছু আছে আমাদের গর্ব করার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে, মেডিক্যাল কলেজ বেড়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এক সময় মানুষকে বোঝা মনে করা হতো কিন্তু সারা পৃথিবীতে মানুষ এখন সম্পদ। দক্ষ মানুষের কোনো বিকল্প নেই। আমরা উৎপাদনে এই অঞ্চলে এখনো পিছিয়ে। প্রতিযোগিতা বাড়াতে হলে দক্ষতার বিকল্প নাই। এনএসডিএ মতো বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এনএসডিএকে হেড ধরে অন্যান্য যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দক্ষতা নিয়ে কাজ করে সবাইকে এক সাথে আনা যায় তাহলে সমন্বয় ভালো হবে। সারা পৃথিবীতে প্রচুর লোকের চাহিদা আছে। একটু দক্ষ করে দিতে পারলে আমাদের রেমিট্যান্স ডাবল ট্রিপল আসতে পারে।
বিভিন্ন কোর্সের উপর ৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে এনএসডিএর বরাদ্দের চেক হস্তান্তর করা হয়।
যারা বরাদ্দ পেয়েছে- কেরানীগঞ্জ টেকনিক্যাল উজ্জলা লি. শ্যামলি আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেণিং ইনস্টিটিউট, ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।