সম্প্রতি এমসিসিআই প্রকাশিত চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ চিত্র উঠে এসেছে।
সংগঠনটি বলছে, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।
এমসিসিআই বলছে, গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বেড়েছে রপ্তানির সঙ্গে প্রবাসী আয়ও। তবে মূল্যস্ফীতিসহ আরও কিছু চাপ রয়ে গেছে।
এমসিসিআইয়ের অর্থনীতির পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। যেখানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের পতন শুরু হয়েছিল, সেটি থামানো গেছে। দেশীয় মুদ্রার দরপতনও থেমেছে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ঘাটতির উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে প্রবাসী আয়ে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি কাটিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দেখা গেছে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে, আবার আগের মতো আমদানি হচ্ছে না শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি।