অবশেষে উচ্চ সক্ষমতার তথা ৫০০ সিসি (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল বাজারজাত করার সুযোগ পেলেন স্থানীয় উৎপাদকরা। দেশে এখন থেকে ৫০০ সিসি (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেলের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা যাবে, সংযোজন করা যাবে, বাজারজাতও করা যাবে। গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নতুন আমদানি নীতি আদেশ (২০২১-২৪) এমনটি বলছে।
আমদানি নীতি আদেশে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ৫০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে পারবে। ১৬৫ সিসি সক্ষমতার মোটরসাইকেল আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমোদন রয়েছে। এর বেশি সব ধরনের মোটরসাইকেল আমদানি নিষিদ্ধ। তবে পুলিশের ক্ষেত্রে ১৬৫ সিসির এ ঊর্ধ্বসীমার বিধান প্রযোজ্য নয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) নিজেই গত বছর সিসিসীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। বিশ্বের কোথাও এমন সিসিসীমা নেই জানিয়ে সংস্থাটি বলেছিল, ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। স্থানীয় মোটরসাইকেল শিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার।২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করা হবে।
যানজট বেড়ে যাওয়ায় ও রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মোটরসাইকেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিক্রিও বাড়ছে। দেশে ২০১৮ সালে ৪ লাখ ৮৭ হাজার এবং ২০১৯ সালে ৫ লাখ ৪৯ হাজার মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টি। কোভিডের প্রভাবে ২০২০ সালে তা কমে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টিতে দাঁড়ায়। ২০২১ সালে আবার তা কিছুটা বেড়ে হয় ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৫২টি।