দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের কলরেট বাড়ানোয় (৩০ থেকে ৪০ পয়সা) মোট কল কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। সরকার মনে করছে কলরেট কিছুটা কমিয়ে ৩৫ পয়সা করা হলে কলের সংখ্যা বাড়বে। এতে শুরুর দিকে রাজস্ব আয় কম হলেও পরে তা গ্রাহক বাড়াতে সহায়ক হবে। বিষয়টির সুরাহা করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। কলরেট পুনরায় বিবেচনার জন্য কল ভলিউম এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করবে ওই কমিটি। ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান হলেন কমিশনের সিস্টেম ও সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের কলরেট ৪০ থেকে কমিয়ে ৩৫ পয়সা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কলরেট ৪০ পয়সা করায় মাসিক গড় কল ভলিউম ৫০ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন থেকে কমে ৩৩ দশমিক ৩২ মিলিয়ন হয়েছে। কলরেট ৩৫ পয়সা/মিনিট করা হলে ভলিউম বেড়ে ৪১ দশমিক মিলিয়ন হতে পারে।
জানা গেছে, এখন কলের ক্ষেত্রে খরচ হয় ২৩ পয়সা করে (এমটিআর ১০ পয়সা, আইসিএক্স চার্জ ৪, সিস্টেমের খরচ ৯ পয়সা)। কলরেট ৩০ পয়সা হলে লাভ থাকে ৭ পয়সা ও ৩৫ পয়সা হলে লাভ ১২ পয়সা। কলরেট ৪০ পয়সা হলেও খরচ একই থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, যখন কলরেট ৩০ পয়সা ছিল, তখন প্রতিদিন কলমিনিট ১২ লাখে উঠে গিয়েছিল। এখন দিনে কল মিনিটের হার সাড়ে তিন লাখের মতো। তিনি মনে করেন, কলরেট কমানো হলে কল মিনিটের সংখ্যা বাড়বে। রাজস্বও বাড়বে। তিনি আরও জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলাপ অ্যাপের ব্যবহারকারী ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৭ জন। জানতে চাইলে আম্বার আইটি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মো. আমিনুল হাকিম বলেন, এখনও কলরেট কমেনি। দেশীয় অ্যাপের বাজার বৃদ্ধি, বেশি সংখ্যক নিয়মিত গ্রাহক বানাতে কলরেট কমানোর বিকল্প নেই।