গত শতাব্দীর প্রথম দিকেও গরীবের তালিকায় নাম ছিল সিঙ্গাপুরের। তবে সেই অবস্থার দ্রুত বদল ঘটান দেশটির নেতা লি কুয়ান ইউ। তার জাদুকাঠির ছোঁয়ায় মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই প্রাচুর্যের চূড়ান্ত সীমায় ওঠে দেশটি। ট্রাফিক ব্যবস্থা আমুল বদলে ফেলার পাশাপাশি দুর্নীতিকেও বিদায় বললেন তিনি। এর জন্য নিতে হয়েছে বিশেষ কৌশল।
বর্তমানে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এর রূপকার ছিলেন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সস্তা জনপ্রিয়তার পিছনে কখনোই দৌড়াননি লি। বরং মন থেকে যা বিশ্বাস করতেন, তার উপর নির্ভর করেই প্রশাসন চালাতেন তিনি। আর তাতেই ফুলে ফেঁপে ওঠে সিঙ্গাপুর।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির আর্থিক সমৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হলো দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন। লি বিশ্বাস করতেন, কম বেতন পেলেই বাড়তি আয়ের চেষ্টা করবেন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। এর ফলে দুর্নীতি দূর করা যাবে না। এটি রুখতে পার্লামেন্টের সদস্যদের বেতন এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে দেন তিনি।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক বেতন পান সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। এদের এক একজনের বেতন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ কোটি টাকারও বেশি। লির ওই কৌশল দারুণ কাজ করে। সিঙ্গাপুর প্রশাসনে দুর্নীতি প্রায় নেই বললেই চলে।
এর পাশাপাশি দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজান লি। যানজট কাটাতে মেট্রোরেলে মুড়ে দেন গোটা দেশ। পাশাপাশি রাস্তায় কমান গাড়ির সংখ্যাও। শহরের বিভিন্ন এলাকার সৌন্দর্য বর্ধন করে প্রশাসন। পরবর্তীকালে পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সিঙ্গাপুর সিটি।