বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত বা অসুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যানকে। তার বার্ষিক দুর্দশা সূচকে (এইচএএমআই) ওঠে এসেছে বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশ হলো আফ্রিকার জিম্বাবুয়ে। মূলত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করে এইচএএমআই। মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, ব্যাংকের সুদহারসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে এ সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।
বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলোর সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ১১৫তম। বেকারত্বের সমস্যার কারণে বাংলাদেশ ১১৫তম স্থানে রয়েছে। এ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ২০ দশমিক ১০৭।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ১৫৭টি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিচার-বিশ্লেষণ করে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ১৫টি দেশের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে— জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা এবং ঘানা।
অপরদিকে বিশ্বের সবচেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত বা অর্থনৈতিভাবে সুখী দেশ হলো সুইজারল্যান্ড। এ দেশটির ঋণ জিডিপির তুলনায় কম। এ বিষয়টিতে এগিয়ে থাকায় দেশটি সবচেয়ে সুখী দেশের তকমা পেয়েছে। সুইজারল্যান্ডের পর এ তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে কুয়েত, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, তোগো এবং মাল্টা।
বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়েও নিচে (১০৩ তম)। ভারতেরও মূল সমস্যা বেকারত্ব বলে সূচকটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৩৪তম। এ দেশটিরও সমস্যা বেকারত্ব। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী, টানা ছয় বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ফিনল্যান্ড এই তালিকার ১০৯তম অবস্থানে রয়েছে।
বার্ষিক দুর্দশাগ্রস্ত দেশের সূচক প্রকাশ করা স্টিভ হ্যানকে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত অর্থনীতির অধ্যাপক। এই সূচকটি বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংকের ঋণ প্রদানের সুদহার থেকে বার্ষিক জিডিপির পার ক্যাপিটার পরিবর্তন থেকে বিয়োগ করে তৈরি করা হয়েছে।
জিম্বাবুয়েতে বর্তমানে মূলস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। আর এ কারণেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন, সিরিয়ার মতো দেশগুলোকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের শীর্ষস্থানে উঠেছে দেশটি।