আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু খুনের পরিকল্পনা হয় দুবাইয়ে। পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন বিদেশে পলাতক কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। খুনের দর হাঁকা হয় ১৫ লাখ টাকা। শেষমেশ এই দরেই দফারফা হয়। দেশে বসে খুনের বাস্তবায়ন করে পেশাদার কিলারচক্র। হত্যার আগে ও পরে টিপুর গতিবিধি রেকির আপডেট মেসেজ আদান-প্রদান করে মাস্টারমাইন্ড ওমর ফারুকসহ তার সহযোগীরা। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ওমর ফারুকসহ চারজনের জবানিতে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
ঘটনার শুরু যেখানে : গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে টিপু এবং হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত সব সময় লেগে থাকে। এই সংঘাতপরম্পরায় ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই গুলশান শপার্স ওয়ার্ল্ডের সামনে যুবলীগ নেতা মিল্কীকে হত্যা করা হয়। মিল্কী হত্যাকাণ্ডের তিন বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে একই এলাকার বাসিন্দা রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু খুন হন। মিল্কী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টিপুর সম্পৃক্ততা রয়েছে-এমন দাবি করে ওমর ফারুক, পলাশসহ একটি পক্ষ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, আলোচনাসভা, পোস্টার লাগানোসহ প্রতিবাদী নানা কার্যক্রম চালায়। এছাড়া বাদীর মাধ্যমে চার্জশিটের নারাজি দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরও জাহিদুল ইসলাম টিপু মামলা থেকে অব্যাহতি পান। পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার ওমর ফারুক ও অন্য সহযোগীরা স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে টিপুর অন্যতম সহযোগী রিজভী হাসানকে ২০১৬ সালে হত্যা করে। রিজভী হাসান খুনের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানায়, তাদের ধারণা-প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ টিপুর কারণেই রিজভী হাসান ওরফে বোচা বাবু হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে। সাক্ষী গ্রহণসহ বিচারকাজও শেষ হওয়ার পথে ছিল। এ কারণে চক্রটি তড়িঘড়ি করে পথের কাঁটা সরানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অন্যতম শত্রুনিধন তালিকার প্রথম সারিতে ছিল মামলার বাদী বোচা বাবুর বাবা আবুল কালাম। সেজন্য তারা প্রথমে আবুল কালামকে ৫০ লাখ দিয়ে মামলাটি আপসে মীমাংসা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সমঝোতার বিষয়টি যখন কিছুটা সামনে এগোতে থাকে, তখন বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান আওয়ামী লীগ নেতা টিপু। আর ওই বাধা ক্রমেই এতটা প্রবল হতে থাকে যে, একপর্যায়ে সমঝোতার অপচেষ্টা ভেস্তে যায়। শুধু তাই নয়, বোচা বাবু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী কাইল্লা পলাশকেও আদালতে সাক্ষী দিতে বাধ্য করেছিলেন টিপু। এতে খুনিচক্রটি অন্যতম এই সাক্ষীকেও ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়। অগত্যা তাদের পথের অন্যতম কাঁটা হয়ে দাঁড়ান আওয়ামী লীগ নেতা টিপু। এ কারণে তারা টিপুকেই চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। যার প্রথম বৈঠকটি হয় একেবারে আদালত চত্বরে।
এদিকে টিপুর ওপর চরম ক্ষোভ থেকে কাইল্লা পলাশও হাত মেলায় বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের আসামিদের সঙ্গে। এ কারণে টিপু হত্যার পরিকল্পনা দ্রুতগতিতে এগোতে থাকে। এমনকি এই পলাশই হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারমাইন্ড ফারুক ও সমন্বয়কারী মুসাকে কয়েকজন আন্ডারওয়ার্ল্ড সন্ত্রাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সঙ্গে এই যোগাযোগটি হয় মোবাইল ফোনে। এরপর হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সমন্বয়ের জন্য মুসা ১২ মার্চ দুবাই যান। এরপর কিলিং মিশন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যায়। প্রতিদিন সময় ভাগ করে সকাল-বিকাল ও রাতে চলতে থাকে একের পর এক টার্গেট রিহার্সেল। যার পরিণতি ঘটে ১১ দিনের মাথায় ২৪ মার্চ। ফিল্মি স্টাইলে টিপুকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যার বাস্তবায়ন : গ্রেফতার ব্যক্তিরা আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডটি দেশে সংঘটিত হলেও নিয়ন্ত্রণ করা হয় দুবাই থেকে। দেশ থেকে কিলার নাছির, কাইল্লা পলাশসহ আরও কয়েকজন জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে বেশ কয়েকদিন ধরে মুসার কাছে তথ্য পাঠাত। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর কিলার নাছির আনুমানিক চারবার জাহিদুল ইসলাম টিপুর অবস্থান সম্পর্কে মুসাকে জানায়। পরবর্তী সময়ে টিপু গ্র্যান্ড সুলতান রেস্টুরেন্ট থেকে বের হওয়ার সময় কাইল্লা পলাশ তাকে নজরদারিতে রাখে এবং তার অবস্থান সম্পর্কে ফ্রিডম মানিককে অবহিত করে। অবস্থান সম্পর্কে জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের তত্ত্বাবধানে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
১৫ লাখ টাকার চুক্তি : জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ওমর ফারুক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মুসার সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তি করেন। দুবাই যাওয়ার সময় মুসা পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায় এবং হুন্ডির মাধ্যমে মুসাকে আরও চার লাখ টাকা পাঠানো হয়। অবশিষ্ট ৬ লাখ টাকা দেশে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। মুসা ২০১৬ সালে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত ৩নং আসামি। বিস্ময়ের বিষয়, মুসা করোনা পজিটিভ দেখিয়ে জামিনে বেরিয়ে আসে।
হত্যায় কার কী ভূমিকা : ওমর ফারুক টিপু হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান এবং অর্থ লেনদেন করে সে। ওমর ফারুক ২০১৬ সালে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত ৪নং আসামি। এই মামলায় সে ইতঃপূর্বে কারাভোগ করে।
কিলার নাছির আ.লীগ নেতা টিপুকে নজরদারি ও হত্যাকাণ্ডের জন্য অর্থ দিয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছে তাকে সাদা শার্ট, জিন্স প্যান্ট ও কেডস্ পরা অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনার পর সে তার মোবাইল ফ্লাশ করে বিক্রি করে দেয় এবং সিমকার্ড ভেঙে ফেলে। র্যাব পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোন ও সিমকার্ডটি উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনার আগের দিন সে সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একদিন অবস্থান করেছিল। সে বোচা বাবু হত্যাকাণ্ডের ১নং চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে অস্ত্র আইনে পল্লবী থানায় আরও একটি মামলা রয়েছে। কাইল্লা পলাশ ঘটনার দিন জাহিদুল ইসলাম টিপুকে নজরদারি ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে সমন্বয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়নে সহায়তা করে। ইতঃপূর্বে সে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলায় কারাভোগ করেছে। শুটার সালেহ ঘটনার পরিকল্পনা ও অর্থ প্রদানের সঙ্গে জড়িত। সে বাবু হত্যাকাণ্ডের ২নং চার্জশিটভুক্ত আসামি। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধে ১২টি মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে।
ডিবির হাতে গ্রেফতার দুজনের ভূমিকা : এর আগে টিপু-প্রীতি হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর মো. মাসুম ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ। পুলিশ বলছে, মাসুমই ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে টিপুকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া টিপু-প্রীতি হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরফান উল্লাহ দামাল নামে একজনকে অস্ত্রসহ আটক করে ডিবি পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় র্যাবের কাছে। উত্তরে র্যাবের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে করা হয়। যেখানে গ্রেফতার নাছির ও ওমর ফারুকের কাছে পরিকল্পনার তথ্য রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মুসাকে দায়িত্ব দিয়েছে। মুসা সমন্বয়কারী হিসাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সমন্বয় করেছে এবং কিলার নিয়োগ করে। যেহেতু আমরা মুসাকে গ্রেফতার করতে পারিনি এবং তিনি দুবাই চলে গেছেন, তাই কাকে তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে শুটার নিয়োগ করেছিলেন, সেটা মুসাকে গ্রেফতারের পর জানা যাবে। গ্রেফতার নাছির, ওমর ফারুক ও সালেহর কাছ থেকে আমরা কোনো শুটার বা কিলারের নাম পাইনি।
দুবাইয়ের সন্ত্রাসী কে : দুবাইয়ে অবস্থানরত আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী কে জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সন্ত্রাসীর নাম পেয়েছি। মুসার অবস্থান পেয়েছি দুবাইয়ে। সেখানে তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। একইভাবে কাইল্লা পলাশ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য দিচ্ছিলেন, যার অবস্থান পার্শ্ববর্তী একটি দেশে। আবার মুসা এর আগে কিলিং মিশনে একজন কিলার নিয়েছিলেন, সেখানে আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন সন্ত্রাসীর নাম আমরা পেয়েছি, তার অবস্থান আমরা পাচ্ছি ফ্রান্সে। এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ দেশে অবস্থান করে ভিপিএনের মাধ্যমে আরেক দেশের নম্বর দিয়ে কল করা যায়। এখন এই ঘটনায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি তারা সরাসরি জড়িত, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শুধু আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী নয়, আন্ডারগ্রাউন্ডের কিছু সন্ত্রাসীর নামও আমরা পেয়েছি। যাদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদেরও এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কোনোকিছুই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
মুসাকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ : দুবাই থেকে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মুসার অবস্থান শনাক্ত করার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে। দুবাইয়ে তিনি কোথায় কী অবস্থায় আছেন, সে সম্পর্কে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। সেসব তথ্য পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে যেসব সংস্থাকে দেওয়া প্রয়োজন ও যে মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব, সেসব কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। কারণ, তাকে না পাওয়া গেলে টিপু হত্যার পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা কঠিন।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় সড়কের ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজছাত্রী এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয়। পেশাদার কিলার বাহিনী এক থেকে দেড় মিনিটের অপারেশন শেষে পালিয়ে যায়। ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে টিপুর দিকে। এর মধ্যে তার শরীরে সাত রাউন্ড গুলি লাগে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেন।
টিপু খুনে গ্রেফতার ওমর ফারুক আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত : মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু খুনের পরিকল্পনাকারী হিসাবে গ্রেফতার হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওমর ফারুককে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
ওমর ফারুককে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘২৫ মার্চ রাতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হিসাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাকে গ্রেফতার করেছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর দায়ভার কোনো ভাবেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বহন করবে না। দলের নীতি ও শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক আপনাকে বহিষ্কার করা হলো।’