আগামী ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ছবিটি। বাংলাদেশের দর্শকদের চমকপ্রদ খবর হলো, যুক্তরাষ্ট্রের আগে দেশের দর্শকরা ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি মুক্তি পাবে ১৫ নভেম্বর। নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
এবার প্রধান চরিত্রে রিডলি স্কট আস্থায় রেখেছেন এ সময়ের আলোচিত ব্রিটিশ অভিনেতা পল মেসক্যালকে। এছাড়া আছেন পেড্রো প্যাসক্যাল, ডেনজেল ওয়াশিংটন প্রমুখ। মেসক্যাল অভিনয় করেছেন ‘লুসিয়াস ভেরাস’ চরিত্রে। এই ভেরাস হলেন লুসিলার ছেলে ও কমোডাসের ভাগনে। ছবির গল্প ভেরাসকে নিয়েই। ১৫ বছর লাপাত্তা থাকার পর সে হাজির হয়, জড়িয়ে যায় গ্লাডিয়েটরিয়াল লড়াইয়ের নৃশংস জগতে।
এ বছরের ৯ জুলাই ছবিটির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। তিন মিনিটের ট্রেলারে রোমান সাম্রাজ্যের সময়কে সিনেমাটিক কায়দায় উপস্থাপন করা হয়েছে। রোমের কলোসিয়ামে জলযুদ্ধ ও হাজার হাজার দর্শনার্থীর সামনে গণ্ডারের সঙ্গে লড়াই করতে দেখা গেছে ব্রিটিশ অভিনেতা পল মেসকালকে। সেই সঙ্গে গ্লাডিয়েটরের পুরনো ইতিহাসও নতুন আঙ্গিকে সামনে আসার ইঙ্গিত দেখা গেছে।
প্রকাশ্যে আসার মাত্র এক দিনেই ট্রেলারের ভিউ ছাড়িয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ। ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই ছবিটি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সমালোচক, ইউটিউবার থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক সিনেমার অ্যাকশন, ভিজুয়্যাল আর সংলাপের প্রশংসা করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে পল মেসক্যালের সঙ্গে গণ্ডারের লড়াই।
নির্মাতা কাইল প্রোহাস্কা এক্সে লিখেছেন, ‘‘গ্লাডিয়েটর ২’ মনে হচ্ছে জমে যাবে, এত দুর্দান্ত সব অ্যাকশন দৃশ্য। এ ছবির যে সিক্যুয়েল হবে, কেউই ভাবতে পারেনি। তবে মনে হচ্ছে, এই সিক্যুয়েল অন্য অনেক সিক্যুয়েলকে ছাড়িয়ে যাবে।’’
চলচ্চিত্রবিষয়ক মার্কিন গণমাধ্যম ডেডলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্মাতা রিডলি স্কট বলেন, ‘‘আমি ‘গ্লাডিয়েটর ২’ বানিয়েছি, কারণ, চিত্রনাট্যের আবেগ আমাকে স্পর্শ করেছিল। প্রথম কিস্তি সৃজনশীল কাজ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ, কোনও আফসোসের জায়গা নেই।’’
গত ২৪ বছর ‘গ্লাডিয়েটর’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে বেশ কয়েকবার আলাপ শোনা গেছে। তবে ‘গ্লাডিয়েটর ২’-এর বিষয়টি নিশ্চিত হয় বছর তিনেক আগে। গত বছরের জানুয়ারিতে জানা যায়, প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে পল মেসক্যালকে। তরুণ এই অভিনেতা বিবিসি ও হুলুর মিনি সিরিজ ‘নরমাল পিপল’ দিয়ে পরিচিতি পান। সে সময় তাকে এমন বড় বাজেটের সিনেমায় নেওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে ট্রেলারে তার পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই বলতে বাধ্য হয়েছেন যে নির্মাতার পছন্দ ভুল হয়নি।
গত বছরের মে মাসে ছবিটির শুটিং শুরু হয় মরক্কোয়। এ ছাড়া ছবিটির শুটিং হয়েছে মালটা ও যুক্তরাজ্যে। ৩১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটির সাফল্য কি আগের ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে! সেটা দেখার জন্যই এখন অপেক্ষা সবার।