শেরপুরে দুই মাসের ব্যবধানে কবর থেকে ২৪টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন মৃতের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার মানুষ। সর্বশেষ শুক্রবার (৪ মার্চ) শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা সার্বজনীন কবরস্থান থেকে অন্তত ১৩টি কঙ্কাল চুরির তথ্য মিলেছে।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি মধ্যরাতে একই ইউনিয়নের হালগড়া স্কুলসংলগ্ন ফটিয়ামারী সামাজিক কবরস্থান থেকে ১১টি কঙ্কাল চুরি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রৌহা ইউনিয়নের এক মুসল্লি বলেন, শেরপুর সদরে এই জঘন্য কাজটা একটা চক্রই করে। কবর থেকে লাশ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণের পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে তারা পুনরায় একই কাজে লিপ্ত হয়। আমরা এলাকাবাসী এ নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। কারণ এদের কারণে প্রিয়জনের শেষ চিহ্নটুকুও থাকছে না।
চন্দ্রকোনা কলেজের প্রভাষক মহিউদ্দিন সোহেল বলেন, শেরপুর সদর উপজেলায় প্রতিনিয়তই কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাকি কবরগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন স্বজনরা। তাহলে কি আমাদের কবরেও শান্তি নেই? এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাহিদ বলেন, শুক্রবার (৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর একজন তার আত্মীয়ের কবর জিয়ারত করতে যান। কবরস্থানে গিয়ে দেখেন কয়েকটি গর্ত খোঁড়া। পরবর্তীতে স্থানীয়রা কবরের মাটি সরিয়ে দেখতে পান কবরস্থানে মোট ১৩টি মরদেহ (কঙ্কাল) নেই।
এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনছুর আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।