নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় সাওতা গ্রামের মহসীন আলী মৃধার ছেলে মশিউর রহমান রিংকু। ২০০৫ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় লোকগান ও বাউলগান গেয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। সেরা পাঁচে ছিল তার অবস্থান।
তারপর থেকেই পথচলা তার দাপুটে। গানে গানে শ্রোতা মাতিয়েছেন। বিশেষ করে তার কণ্ঠে লালনের গান লুফে নিয়েছে দেশের শ্রোতারা। লালনের ১০০ গানের পাশাপাশি নানাস্থানে ছড়িয়ে থাকা লোকগান সংগ্রহ করে কাজ করতে গিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান তিনি।
‘সম্পর্ক’ নামে একটি গানের প্রতিষ্ঠানও তিনি গড়ে তোলেন মগবাজারে। প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে তিনি ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘বাউল মন’, ও ‘জগৎ বন্ধু’ নামের অডিও অ্যালবাম দিয়ে শ্রোতাদের ভালোবাসায় সিক্ত হন। তার কণ্ঠে ‘বাউল মন’ অ্যালবামের ‘নারী হয় লজ্জাতে লাল, ফাল্গুনে লাল শিমুল বন’ গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
সেই রিংকু এখন লোকচক্ষুর আড়ালে। শারীরিক অসুস্থতায় জটিল সময় পার করছেন তিনি। বেশ কয়েকবার স্ট্রোক করেছেন। এখন থাকছেন গ্রামের বাড়িতেই। কথা হলো রিংকুর সঙ্গে। তিনি জানান, ২০২০ সালে দুই বার স্ট্রোক করেন তিনি। কিছুদিন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দুই মাস ধরে আছেন নওগাঁয়ে নিজ-গ্রামে। বর্তমানে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
রিংকু বলেন, ‘শারীরিকভাবে খুব একটা ভালো নেই। কয়েকদিন পুরোপুরি বিছানায় ছিলাম। এখন কিছুটা সুস্থ। কোনো মতে হাঁটাচলা করতে পারছি। সবার কাছে দোয়া চাই। গানে ফিরতে খুব ইচ্ছা করে আমার।’