জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রন আক্রান্তের শঙ্কা ছিল। সে শঙ্কা সত্যি হয়েছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলে দেশে ফেরা বাংলাদেশ নারী দলের দুই ক্রিকেটার করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদেরকে এখনো কোনো ধরনের আপডেট সরকার থেকে জানানো হয়নি। শুনেছি এটা মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, মন্ত্রী যদি নিজেই বলে থাকেন তাহলে তো ব্যাপারটি সত্য।’
ওমিক্রনের কারণে জিম্বাবুয়ে থেকে নারী ক্রিকেটারদের ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ ঘুরে। দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে উৎপত্তি এই ধরনের। যেহেতু বাছাই পর্ব জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়েছে, এজন্য দেশে ফিরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নারী ক্রিকেটার দুজনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যায় কিনা সেটি পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় জানা যায় দুজনেই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
ওমিক্রনে আক্রান্ত দুজনের সঙ্গে দলের বাকি সদস্যরা হোটেলে আইসোলেশনে আছেন। তাদের বিষয়ে কী ভাবনা বোর্ডের? দেবাশিষের ব্যাখ্যা, ‘তারা সবাই এখন আইসোলেশনে আছেন। সবাই হোটেলে আলাদা আলাদা কক্ষে আইসোলেশনে আছেন, কেউ বের হচ্ছেন না। আর এটাতো সরকারের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। আমরা এখন অপেক্ষা করছি আমাদের নতুন কোন দিক নির্দেশনা দেয় কিনা। কোথায় রাখব, কি করব পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে এগুলোর ব্যাপারে।’
‘আমরা শুনেছি যে সবাইকে ১৪ দিন পর নেগেটিভ হলে রিলিজ করে দেওয়া হবে। এখন ওমিক্রনকে সরকার নতুন কোন সমস্যা হিসেবে দেখছে কিনা এটা আমরা এখনো নিশ্চিত না।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে নভেম্বরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে গিয়েছিল বাঘিনীরা। সেখানে বাছাইপর্ব খেলতে নামার আগে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি একদিনের সিরিজে অংশ নেয় নারীরা। সেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২০২২ একদিনের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বটাও দাপটের সাথেই শুরু করে বাংলাদেশ দল।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল পাকিস্তানকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয়। যদিও পরের ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হার কিছুটা কঠিন করে দেয় বাংলাদেশ দলের কোয়ালিফাই করার রাস্তাটা। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে গেলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় বাংলাদেশ নারী দল।