স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তৎকালীন ডিসি দক্ষিণ খান সাঈদ হাসানকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার প্রস্তাব করায় কারা-মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুনকে সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী।
এছাড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একই অভিযোগে কাশিমপুর-২ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বিতর্কিত আব্দুল জলিল ও জেলার আবু সায়েমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার। গত ২১ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের সেবা ও সুরক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে পত্রমারফত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেওয়া গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কারা-মহাপরিদর্শককে সতর্ক করা নোটিশে বলা হয়েছে, জেলার ও সিনিয়র জেল সুপার প্রকৃত তথ্য গোপন করে এবং কারা অধিদপ্তর তার যথার্থতা যাচাই বাছাই না করে তাকে ডিভিশন দেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় যা কারা বিধির লঙ্ঘন। কারাবিধি অনুসরণ না করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোয় ব্রিগেডিয়ার মোমিনুর রহমান মামুনকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে কারা মহাপরিদর্শককে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল কিন্তু যে ব্যাখ্যা তিনি পাঠান মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী নিয়ম রক্ষা করে আলোচ্য তিন জনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা। স্মরনকালের মধ্যে কোন আইজি প্রিজনের বিরুদ্ধে এই প্রথম ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানা গেল।
মন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল ও সচিব মোকাব্বির হোসেনের নজরে আসলে তারা কারা শাখার অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেনসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টি গোপনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। তদন্তকালে ধরা পড়ে আদালতের আদেশ এবং কারা বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে খান সাঈদ হাসানকে ডিভিশন দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। আর এরপরই মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এ অনুযায়ী দায়িত্বে চরম অবহেলা ও কারা বিধি লঙ্ঘন করার কারণে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল ও জেলার আবু সায়েমের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিবরণী পাঠাতে কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর কারা মহাপরিদর্শককে লঘুদণ্ড সতর্ক করা হয়।