বুধবার (৮ জানুয়ারি) একনেক বৈঠকে এই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পটি অক্টোবর ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এবং পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানায়, নতুন কূপ খননে গ্যাস পাওয়া গেলে ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ দুটি থেকে প্রথম ৫ বছরে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে এবং পরবর্তী ৫ বছরে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে অর্থাৎ ১০ বছরে মোট ৫৬ বিসিএফ গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার আংশিক পূরণ করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের আওতায় নতুন ২টি অনুসন্ধান কূপ (ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯) খনন; বৈদেশিক পরামর্শক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ এবং ১৪ কিলোমিটার গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।
একনেকের সারসংক্ষেপ থেকে দেখা গেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এর আওতাধীন সিলেট (হরিপুর), কৈলাশটিলা, বিয়ানীবাজার ও রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মোট ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক কমবেশি ১০৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বাপেক্স ২০১৭ সালে ডুপিটিলা স্ট্রাকচারে সম্পাদিত ২ডি সিসমিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত ‘ইন্টারপ্রিটেশন রিপোর্ট অন ডুপিটিলা প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে ভুলিটিলা কাঠামোতে ৩টি নতুন অনুসন্ধান কূপ (প্রপোজড-১, প্রপোজড-২ ও প্রপোজড-৩) খননের প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তীতে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃক গঠিত কমিটি প্রস্তাবিত ৩টি প্রসপেক্টসের মধ্যে তুলনামূলক বিচারে ১টি প্রসপেক্ট (প্রপোজড-৩) ডুপিটিলা-১নং কূপ (অনুসন্ধান) খননের সুপারিশ করেছে।
এছাড়া, বৈদেশিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এ্যাসক্লামবারজার সিকো ইনচ ২০১৮ সালে সম্পাদিত ত্রিমাত্রিক (৩ডি) সিসমিক জরিপ রিভিউ ফলাফলের ভিত্তিতে কৈলাশটিলা কাঠামোতে ৪টি প্রসপেক্ট (এসএলবি-১, এসএলবি-২, এসএলবি-৩ ও এসএলবি-৪)-এ ৪টি অনুসন্ধান উন্নয়ন কূপ খননের সুপারিশ করেছে এবং পেট্রোবাংলার মাধ্যমে গঠিত কমিটি এসএলবি-৪ প্রসপেক্টকে কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান) হিসেবে খননের সুপারিশ করেছে। এ জন্য এ প্রকল্পের আওতায় ডুপিটিলা-১ (প্রপোজড- ৩) এবং কৈলাশটিলা-৯ (এসএলবি-৪) নামে দুটি অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পটির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগের জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জ জেলায় ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন করে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেলে প্রথম ৫ বছরে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে এবং পরবর্তী ৫ বছরে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড লাইনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো সম্ভব হবে, যা দেশের এবং ওই প্রতিষ্ঠানের আর্থিকও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এর ফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে এবং এলএনজি আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।