তিনি বলেন, কেন জানি না মানুষের ধারণা তৈরি হচ্ছে এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে। এটা সঠিক নয়, কিন্তু মানুষের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি সংস্কার করেন সমস্যা নেই। কিন্তু যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, আজকে বাংলাদেশের অস্থিরতা, স্থিতিশীলতা সমস্যা রয়েছে। এগুলো অনেক কমে যাবে যদি একটি নির্বাচিত সরকার থাকে। কারণ নির্বাচিত সরকারের শক্তিটা হচ্ছে অন্য, এই সরকারের পেছনে জনগণ থাকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দেশের সমস্যা বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে কিন্তু এটার দিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই।
তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আপনারা হচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আপনাদের কাজ হচ্ছে সংস্কার করা এবং একটি নির্বাচন ব্যবস্থা করা, যে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এটাই হচ্ছে প্রধান কাজ। এরপর নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা। ১ লাখ ২৫ হাজার মামলায় আসামি ৬২ লাখের উপরে। ৭ শত নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। এগুলোতে দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়েই হয়েছে। সুতরাং এক তরফা কথা বলে বা রাজনীতি দলগুলোকে আক্রমণ করে কথা বলে সমাধান হবে না। সমাধান হবে সকলকে নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে।
ফখরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সুপরিকল্পিত সচেতনভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দ্বিতীয়বার হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল। এই আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই আওয়ামী লীগ যার নেতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান যে নেতা ৭১ সালের আগ পর্যন্ত আমাদের নিকট অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। ৭১ সালের পরে পাকিস্তান থেকে এসে দেশকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের দুর্নীতি এত ভয়াবহ আকারে পৌঁছেছিল যা পরবর্তীতে দুর্ভিক্ষে পরিণত হয়। যেখানে লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করি বলেন বিএনপি মহাসচিব।
জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির জাপার জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।