পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেল স্বপ্নের মেট্রোরেল। তবে এতে কোনো যাত্রী ছিল না। রোববার (১২ ডিসেম্বর) দিয়াবাড়ি ডিপো এলাকা থেকে সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে মেট্রোরেল ছেড়ে যায় আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে। পারফরম্যান্স টেস্টের অংশ হিসেবে এর আগেও ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচল করেছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। আগামী বছরের ডিসেম্বরে এই অংশে বাণিজ্যিক চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ (ডিএমটিসিএল)। এমআরটি লাইন ছয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীসহ রেল চলবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ।
৯ ডিসেম্বর সকালে অনলাইনে এক বিফ্রিংয়ে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট বসানো শেষ হয়েছে পাশাপাশি স্টেশনগুলোর অবকাঠামোও নির্মাণও শেষ। এছাড়া মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। মেট্রোরেলের প্রতিটি সেটে থাকবে চারটি যাত্রীবাহী কোচ, দুই দিকে দুটো ইঞ্জিন। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি স্কয়ার মিটারে ৮ জনের হিসাবে দ্রুততম সময়ে প্রায় ১৭০০ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
জাপানে তৈরি স্টেইনলেস স্টিলের কোচগুলোর ভেতরে লম্বালম্বি দুই পাশে রয়েছে বসার আসন। প্রতিটি কোচে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি হুইল চেয়ার রাখারও জায়গা আছে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার সুবিধার জন্য কোচগুলোতে আছে অনেকগুলো হাতল। কোন স্টেশনে ট্রেন থামবে, তা জানানো হবে ডিসপ্লেতে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি কোচের দুই পাশে থাকছে চারটি দরজা। তবে স্টেশনে এলে এক পাশেই তা খুলে যাবে। ট্রেন থাকবে প্ল্যাটফর্মের সমতলে, তাই সাধারণ ট্রেনের মত সিঁড়ির প্রয়োজন হবে না।