সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৪ হাজার মানুষ। সেখানে যতজনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে ১১ দশমিক পাঁচজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে। সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) করোনা আক্রান্তের হার আগের দিনের চেয়েও ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থিতিতে সব রাজ্যকে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন মজুদের নির্দেশনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশটিতে তৃতীয় ঢেউতে যে করোনা হচ্ছে, তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক নয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তারা যে কোনো অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে চাইছে।
এদিকে দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। এরপরেও করোনা বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) থেকে সব বেসরকারি অফিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, বেসরকারি অফিসের কর্মীরা বাড়িতে থেকে কাজ করবেন। করোনা বাড়তে থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁ ও পাব। তবে রেস্তোরাঁ থেকে হোম ডেলিভারি চালু থাকবে। খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থা। এর আগে জিম, স্পা, সুইমিং পুল, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল দেওয়া হয়েছিল। সরকারের দাবি, মুম্বাইতে করোনা সংক্রমণ কমেছে। পূর্বে যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তাদের মধ্যে শতকরা ২৮ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসছিল। এখন তা কমে ১৮ দশমিক সাতজনে দাঁড়িয়েছে।