ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরে রাতে মাঠে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লির মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন রান উৎসবে মাতেন কেকেআর। প্রথমে সুনিল নারিন। পরে রঘুবংশী; আর শেষে আন্দ্রে রাসেল। তিন নাইটের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় কলকাতা। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬৬ নেমে রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানে বিশাল জয় পায় কলকাতা।
অসম্ভব লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধসে পরে দিল্লি ক্যাপিটালসের টপ অর্ডার। পঞ্চম ওভারে ৩৩ রানে চার উইকেট হারায় তারা। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পান্থ ও ত্রিস্টান স্টাবস। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৩ রান।
এ সময় দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ঋষভ ২৫ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সহায়তায় করেন ৫৫ রান। ৩২ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৫৪ রানে ফেরেন স্টাবস। শেষ দিকে রাসিক সালাম ১ এবং এনরিচ নরকিয়া ৪ রানে আউট হলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় দিল্লি। এতে ১০৬ রানের বিশাল জয় পায় কলকাতা।
এর আগে বিশাখাপত্তনমের রাজশেখর রেড্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই মারমুখী ভঙ্গিমায় আবির্ভূত হন কলকাতার দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনিল নারিন। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ১৮ ও দলীয় ৬০ রানে সাজঘরে ফেরেন সল্ট। অ্যানরিচ নর্টজের বলে ট্রিস্টান স্টাবসের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর রঘুবংশীকে নিয়ে ১০৪ রানের জুটি গড়েন নারিন। ৩৯ বলে ৮৫ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন নারিন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি করে চার ও ছয়ের একেকটা শট।নারিন আউট হবার পর বেশিক্ষন ক্রিজে থাকতে পারেনি রঘুবংশীও। ৫৪ রান করে পরের ওভারেই নর্টজের বলে ইশান্ত শর্মার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। খলিল আহমেদের বলে স্টাবসের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন শ্রেয়াস। আউট হবার আগে করেন ১৮ রান। দলীয় রান তখন ২৩২। এরপর দলের পক্ষে রিংকু সিং খেলেন ৮ বলে ২৬ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৭২ রানের সংগ্রহ পায় কলকাতা।
আর তাতে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহে নাম লেখান দলটি। কয়েক দিন আগেই বেঙ্গালুরুর ১১ বছর আকড়ে ধরে রাখা ২৬৩ রানের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২৭৭ রান করে তারা।
তবে আট ম্যাচের ব্যবধানে হায়দ্রাবাদের সেই রেকর্ড ব্রেক করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতা। তবে মাত্র ৬ রানের জন্য ইতিহাস গড়া হলো না শাহরুখ খানের দলের।