হকি ফেডারেশনের কাছে লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নেই। হকি ও ক্রীড়াঙ্গনের পুরোনো অনেক ইতিহাসের ভরসা সিনিয়র ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আলী। হকি ফেডারেশনের এই নির্বাহী সদস্য স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে হকি থেকে অফ-সাইড ওঠে যায়। অফ-সাইড ওঠার পরপর পুলিশ ১৯ গোল খেয়েছিল। ১৯ গোল হয়েছে এটা আমি নিশ্চিত, তবে সেটা আবাহনী না মোহামেডান দিয়েছে এটা স্মরণ নেই।’
আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের পর এবার দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতলেন ঢাকা মেরিনার্স ইয়াংস ক্লাবের খেলোয়াড়রা। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিনের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে দিলকুশার জালে গুনে গুনে ১৮টি গোল পুরেন মামুন-উর-রশিদের শিষ্যরা। মেরিনার্সের ৭ জন খেলোয়াড় মিলে এই গোল উৎসবে মাতেন। এর মধ্যে ডিফেন্ডার সোহানুর রহমান সবুজ একাই করেন হ্যাটট্রিকসহ ৫ গোল। ম্যাচে আরও দুটি হ্যাটট্রিক দেখেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। মাঈনুল ইসলাম কৌশিক এবং প্রিন্স লাল সামন্ত মেরিনার্সকে হ্যাটট্রিক উপহার দেন।
এছাড়া জয়ী দলের মিলন হোসেন, সাদাফ সালেকীন ও আবেদ উদ্দিন জোড়া গোল করেন এবং রাহিদ হোসেনের স্ট্রিক থেকে আসে এক গোল। দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মিঠু। চলমান লিগে ১৮-১ গোলের ব্যবধানের জয়ই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জেতা কোনো ম্যাচ। এর আগে আজাদকে ১৩-২ গোলের ব্যবধানে হারানো দলটির নামও মেরিনার্স।
দিনের আরেক ম্যাচে পুলিশ হকি ক্লাব ২-০ গোলে বাংলাদেশ স্পোর্টিংকে হারায়। লিগের প্রথম ম্যাচে পুলিশ টিম একজন বিদেশি নিয়ে খেললেও আজ বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ জন খেলিয়েছে। কিন্তু তাদের ফলে তেমন প্রভাব পড়েনি। পুরো ম্যাচে পুলিশ টিমের নতুন সদস্য ও পাকিস্তান জাতীয় দলের মিডফিল্ডার ইহতিসাম আলম একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে দিলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলবঞ্চিত থাকে দল। বাংলাদেশ এসসির বিপক্ষে পেনাল্টি কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
আগামীকাল বিকেলে বড় ম্যাচ রয়েছে। যেখানে উষার মুখোমুখি হবে ঢাকা মোহামেডান। উষা মেরিনার্সকে হারানোর পর আবাহনীর বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়ে হেরেছে। অন্যদিকে মোহামেডান মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় নিয়ে ছন্দে রয়েছে।