বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের মধ্যে ঘাপলা বরাবরই ছিল। দলীয় সরকারের অধীন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে জনগণকে সংগঠিত করে সংবিধান সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করতে হবে। তা না করলে অবাধ লুটপাট, খেলাপি ঋণ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি কিছুই ঠেকানো যাবে না। এজন্য রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবী সমাজের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আমাদের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে এ কথা সত্য নয়। আমরা শুরু করেছি মাত্র। এই প্রথম বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু হয়েছে। এই লড়াই সহজ হবে না, কিন্তু বিজয় আমাদের অনিবার্য। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্রচিন্তা, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সকল বিরোধী দলকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
লেখক ও সাহিত্যিক রাখাল রাহা বলেন, আপনার কর্মসূচি আরেকজন বাস্তবায়ন করে দেবে, এই দিবাস্বপ্ন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগণ এই ডামি নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু ডামি আন্দোলন করে ফ্যাসিবাদ হটানো যাবে না। লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা এর দায় এড়াতে পারে না। হালুয়া রুটির লোভে অনেকেই মাথা নত করেছেন।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা পিয়াস বলেন, বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর নানা প্রতিযোগিতার মধ্য থেকে আমাদের সর্বোচ্চ ফায়দা নিতে হবে। এজন্য জাতীয় সংহতি দরকার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা নানাভাবে বিভক্ত। বিভক্তি জিইয়ে রেখে আমরা সুবিধা করতে পারব না। তা আওয়ামী লীগকেই সুবিধা দেবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজীর সভাপতি আলোচনা সভা পরিচালনা করেন আইন গবেষক লোকমান বিন নুর। সভাপতির বক্তব্য দেন আর রাজী।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক সেলিম খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদুল হক, ইমরান ইমন, হাসিবউদ্দিন হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব গোলাম শফিক প্রমুখ।