দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হাজী সেলিমের দেশত্যাগের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সগৌরবে বীরদর্পে ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। দণ্ডিত আসামির দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কীভাবে হলো?’ নির্বিঘ্নে তার বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়।
বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পর আদালত হাজি সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এত দিনে তার থাকার কথা ছিল কারাগারে, এমপি পদ হারানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক গেছেন। রিজভী মন্তব্য করে বলেন, অচিরেই হাজি সেলিম রাষ্ট্রীয় ক্ষমাও পেতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় বন্দী রেখে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেওয়ার পরও বিদেশে তার চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড এবং তার পরিবার বারবার আবেদন করলেও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের তাকে নিয়ে উপহাস ও কটাক্ষের ধারাবর্ষণ থেমে নেই।’
রিজভী বলেন, ‘যতবার খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর দাবি উঠেছে, ততবার আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা চিৎকার করে বলেছেন, দণ্ডিত আসামির দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ হাজি সেলিমের জন্য সেই সুযোগ কীভাবে হলো?’ হাজি সেলিমের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বিদেশে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন এমপি যে সুবিধা পেতে পারেন, সর্বাধিক ভোটে বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সে সুযোগ পান না।