সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। একদিনের ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদের হারিয়েছে আফগানরা। ১৭৭ রানের বিশাল এই জয়ের ফের ইতিহাস গড়েছে রশিদ খানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয় তো বটেই, আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচটি দলের মধ্যে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও এটি আফগানদের প্রথম সিরিজ জয়।
শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। লো স্কোরিং সেই ম্যাচ জয়ের পর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করেছে আফগাইস্তান। প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষেদুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ-আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা।
ওপেনিংয়ে নেমে গতকাল দুর্দান্ত এক শতক হাঁকিয়েছেন গুরবাজ। ১১০ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিলো ১০টি চার আর ৩টি ছয়ে। অন্যদিকে এদিক ফিফটির দেখা পেয়েছেন রহমত শাহ। এছাড়া আফগানদের হয়ে ৮৬ রানের আগ্রাসী এক ইনিংস খেলেছেন ওমরজাই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিততে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখা ওমরজাই গতকাল ব্যাত করেছেন আগ্রাসী মেজাজে। চার নম্বরে নামা এই ব্যাটার খেলেছেন ৫০ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। তাঁর ৫ চার আর ৬ ছয়ে সাজানো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
আফগানদের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। শুরুটা ভালো করলেও দলীয় ৭৩ রানে আউট হন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এরপর দ্রুত আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে প্রোটিয়ারা।
প্রোটিয়া ব্যাটারদের বিপক্ষে গতকাল বল হাতে বিধ্বংসী ছিলেন রশিদ খান। বিশ্বসেরা এই লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে কপোকাত হয় প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন-আপ। ফলে ৭৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১৩৪ রানেই অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ১৭৭ রানের বিশাল জয়ে ইতিহাস রচনা করে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের স্মরণীয় এই জয়ের দিনে বল হাতে ৫ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান। ওয়ানডেতে প্রথম বোলার হিসেবে নিজের জন্মদিনে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। দারুণ এই জয়ের পর তিনি বলেন, ‘হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট ছিল। কিন্তু মাঠে থাকতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি এবং দলকে জেতাতে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি। বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ ছিল আমাদের জন্য। এ কারণে মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকতে হয়েছে।’