৫ অক্টোবর ২০২২ সাল থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের মাঝে বিরাজমান দীর্ঘ কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে রয়েল থাই দূতাবাস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক মাইলফলকগুলোকে স্মরণ করতে চায়। তাই দুই দেশের মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক বন্ধুত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিশেষ কিছু নিবন্ধ প্রকাশ করবে।
উল্লেখিত নিবন্ধনসমূহ ও পরিদর্শনগুলো থাই ও বাংলাদেশী উভয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবে। ছোট গল্প ও গান সম্বলিত ‘৫০ গল্পে থাইল্যান্ড’ এবং ‘৫০ সুরে থাইল্যান্ড’ ধারাবাহিকটি রয়েল থাই দূতাবাস চলতি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা শুরু করবে। ‘৫০ গল্পে থাইল্যান্ড’, আসলে থাইল্যান্ডের জীবনধারা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে যা প্রয়াস-ই বাংলাদেশী সংস্কৃতির সাথে সাদৃশ্যময়ী; যেমন- সুবর্ণভূমি ও সোনার বাংলা, টুকটুক ও বেবি ট্যাক্সি, ভাসমান নৌ বাজার, মাছ ও ভাতের গুরুত্বে, সংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ ইত্যাদি। ১৩ জানুয়ারি ২০২২ থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে এই ধারাবাহিকটি ইংরেজি বাংলা উভয় ভাষাতে প্রকাশ করা হবে।
সঙ্গীত ও গান নিয়ে সাাজানো ‘৫০ সুরে থাইল্যান্ড’ দিয়ে দর্শকেরা থাইল্যান্ডকে আরো গভীরভাবে বিনোদনের মাধ্যমে অনুভব করার সুযোগ খুঁজে পাবে। এ ধারাবাহিকটি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে সুর এবং ১৯৩০ এর দশক হতে আসা বিভিন্ন সঙ্গীত ঘরনার জনপ্রিয়তা অন্বেষণ করেছে, যা ‘বেবি বুমারর্স’দের থেকে সহরবাদের উত্থান পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান সামাজিক বিকাশকে প্রতিফলিত করেছে।
গানের কথা বা কোথাও কোথাও গানের বাহারি সুরের ব্যবহার করে ৫০ সুরে থাইল্যান্ড আসনে শিল্পায়নের সম্প্রসারণ, আত্মীয়তার ঘনিষ্ঠ বন্ধন, নারীর অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা ছাড়াও নানা বিষয়ে থাইল্যান্ডকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। আবার ¯রাতারা লুক ক্রং (শহুরে গান) এবং লুক থুং (পল্লী গান) মাঝে পার্থক্যের পাশাপাশি থাই সমাজ যেভাবে নগরায়ন থেকে বিশ্বায়নের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে তার সম্পর্কে জানবে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২২ থেকে প্রতি শনিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে উদ্ধৃত গানসমূতের ইউটিউব লিঙ্কসহ ধারাবাহিকটির ইংরেজি প্রকাশ করা হবে। তাছাড়া বছরজুড়ে দূতাবাস থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংরক্ষণাগার থেকে থাইল্যান্ড কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি এবং ১৯৭২ সালে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিভিন্ন নথি ও স্থিরচিত্র প্রকাশ করবে। ’৭২ এর ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ড বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেওয়ার পর উভয় দেশ নিজেদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকতার প্রস্তুতির জন্য ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মধ্যে বিরাজমান দারুণ উত্তেজনা এই ‘ফিরে দেখা ৫০ বছর’ নামক শিরোনামের মাধ্যমে পুনারায় অনুভবের সুযোগ খুঁজে পাবে।
থাই পাঠকদের জন্য থাই ভাষায় ‘থাই পুদ্দি বেঙ্গলি পুদ্দাই’ (থাই বুলি ছটফটে, বাংলা বুলি অকপটে) শিরোনামে ৫০ টি নিবন্ধ ভিন্ন মাত্রার আরও একটি নতুন ধারাবাহিক শুধু থাই ভাষায় প্রকাশিত হবে। এটি থাই ও বাংলা ভাষার মধ্যে আকর্ষণীয় সাদৃশ্য ও অদ্ভূদ সংযোগের ওপর আলোকপাত করবে। দুই ভাষার শব্দ ভাারের কিছু শব্দের অর্থ উভয় ভাষায় এক হলেও কিছু শব্দের ধ্বনি এক হলেও তাদের অর্থ ভিন্ন। যেমন- ‘শিক্ষা ও ২০২২ বাণিজ্য’ থাই ও বাংলা ভাষায় একই অর্থবহন করে, অন্যদিকে বাংলায় ‘গণ’ সমস্ত বুঝায় কিন্তু থাই ভাষায় তার মানে নির্দিষ্ট সমষ্টিকেই বুঝায়। এসব নিবন্ধনগুলো ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ সাল থেকে প্রতি শুক্রবার দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।