যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় তুষারঝড়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সংখ্যাটি ছিল ৩৪ জন।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নিউইয়র্কের বাফেলো শহর। শুধুমাত্র এখানেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন।
বাফেলোর গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, ‘এই ঝড় বাফেলোকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে এটি একটি যুদ্ধ। বৃহস্পতিবার থেকে প্রকৃতি আমাদের তার সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত করে যাচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা এবং মেক্সিকান সীমান্ত অঞ্চলগুলোতেও এ ঝড়ের প্রভাব পড়েছে।
বাফেলোর গভর্নর ক্যাথি হোচুল আরও বলেছেন, ‘এটি অনেকটা যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার মতো। রাস্তার পাশের যানবাহনগুলোর অবস্থা খারাপ।’
তিনি জানিয়েছেন, বাফেলোর মানুষ এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। কারণ জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলোও তুষারের কারণে রাস্তায় আটকে পড়ে আছে।
তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে গাড়ির ভেতর বাচ্চাসহ আটকে পড়েছিল একটি পরিবার। স্থানীয় সময় ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে তাদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু উদ্ধার হওয়ার আগে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা।
ওই পরিবারের কর্তা জিলা সান্তিয়াগো মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে বলেছেন, ‘আমি প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে গাড়ির ইঞ্জিন সচল রেখে এবং বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থেকে নিজেকে উজ্জীবিত রাখতে সমর্থ হয়েছিলাম।’
ধারণা করা হচ্ছে, তুষার ঝড়ে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যখন তুষার গলে যাবে তখন আটকে পড়া আরও গাড়ির সন্ধান পাওয়া যাবে এবং নির্জন অঞ্চলগুলোতে উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে পারবেন তখন হয়ত আরও মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
গভর্নর ক্যাথি আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট তাকে ফেডারেল সরকারের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।