ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে ম্যানচেস্টার সিটি। নিজেদের সবগুলো ম্যাচেই জয় পাওয়া বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে গতকাল মাঠে নেমেছিল আর্সেনাল। সিটির মাঠে খেলতে গিয়ে গানাররা পুরো একটি অর্ধ কাল খেলেছে দশজন নিয়ে। খর্বশক্তির আর্সেনালকে চেপে ধরেছিলেন আর্লিং হলান্ডরা। তবে নিজেদের বক্সের সামনে এক দুর্ভেদ্য প্রাচীর তুলে রেখেছিলেন গানাররা, জিইয়ে রেখেছিলেন জয়ের আশা। তবে অন্তিম মুহূর্তে এসে সিটিজেনদের পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন জন স্টোন্স।
ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচের বেশির ভাগ সময়ই লিড ধরে রেখেছিল আর্সেনাল। শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলা সিটিই পেয়েছিল প্রথম গোলের দেখা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই সিটিজেনদের এগিয়ে দিয়েছিলেন হলান্ড। সাভিনিয়োর দুর্দান্ত এক পাসে বল পেয়ে জালের দেখা খুঁজে নেন তিনি।
এদিকে শুরুতে লিড পেলেও তা খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি ম্যানসিটি। ম্যাচের ২০ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সিটির মিডফিল্ডের প্রাণভোমরা রদ্রি। এরপরই সমতার দেখা পায় আর্সেনাল। ২২ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে জালের দেখা পান রিকার্দো ক্যালাফিওরি।
সমতায় ফেরার পর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই লিডও পেয়ে যায় আর্সেনাল। ৪৫ মিনিট শেষ যোগ কর সময়ে কর্নার থেকে শট নেন বুকায়ো সাকা। আর সাকার কর্ণার কিক থেকেই গোলের দেখা পান গ্যাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। তবে লিড পেলেও এর মিনিট ছয়েক পরই দশজনের দলে পরিণত হয় আর্সেনাল। লিওনার্দো ট্রোসার্ডকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
বিরতির পর দশজনের আর্সেনালের বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে সিটি। তবে খর্ব শক্তির দল নিয়েও এসব আক্রমণ প্রতিহত করেছে গানাররা, লো ব্লক ডিফেন্সে বেশ কয়েকটি জোরালো শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন আর্সেনাল ফুটবলাররা। যেসব ঠেকাতে পারেননি সেসবের জন্য মহাপ্রাচীর হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন গোলরক্ষক ডেভিড রায়া।
এদিকে ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও সমতায় ফিরতে না পারায় তখন ঘরের মাঠে হারের শঙ্কা সিটিজেনদের। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হারের স্বাদ নিতে হয়নি তাদের। ম্যাচের একেবারে অন্তিম সময়ে জটলার ভেতর থেকে দারুণ এক গোল করেন স্টোন্স যা অনেক চেষ্টা করেও ফেরাতে পারেননি রায়া। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারে সিটি। এই ড্রয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিটি, অব্যাহত আছে তাদের অজেয় যাত্রাও।