গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অববাহিকার ওপর যতগুলো দেশ রয়েছে সবাই সেই নদীর পানি সমানভাবে পাবেন। কিন্তু ভারত সরকার সেই আইন লঙ্ঘন করে তিস্তায় গজলডোবা বাঁধ দিয়ে পানি একতরফা ব্যবহার করছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই -স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া বাজারে মঞ্চে অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ যখন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি তোলে তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারতকে চাপে রাখে। ভারত তখন দাবি করে তাদের অঙ্গরাজ্য সরকার মানছে না। তাই সম্ভব হচ্ছে না। এসব হচ্ছে ভারতে ছলনা। ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় সমাধান করবে। চুক্তির দরকার কি? আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ তিস্তার যে হিস্যা পায় তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। তা না করে ভারত সরকার তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে টালবাহনা করছে। যা বাংলাদেশের মানুষ মানবে না।
তিস্তা নদীর দুই পাড়ের ৫টি জেলার ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি পয়েন্টে করা হয়েছে মঞ্চ ও থাকার ব্যবস্থা। তিস্তাপাড়ের মানুষ তাদের দাবি আদায় করতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীর জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষ সবাই।
সমাবেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজি জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।