বাংলাদেশের সাথে ভারতের সব ধরনের সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়েছেন প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি। আটকা পড়াদের বেশিরভাগই চিকিৎসা নিতে ভারত গেছেন। কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার সকাল থেকে স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোলে তারা আটকা পড়েন। সারাদিন তারা দেশে ফেরার উদ্দেশে সেখানে অবস্থান করেন। তবে এখনও তারা পেট্রোপোলে অবস্থান করছেন কি না এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
ভারতের হাইকমিশন থেকে পাঠানো কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকেপড়া এক বাংলাদেশি বলেন, আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যেন আমাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়। কারণ আমরা এখানে শুধু চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। এখন আমাদের হাতে টাকা-পয়সা নেই। আমরা এখানে কি করে থাকব!
বাবাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়ে আটকা পড়া এক নারী বলেন, হঠাৎ খবরে হয়েছে ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ দেশে যেতে পারবেন না। ওপারের মানুষ এপারে যেতে পারবেন না। আমরা যারা এপারে আছি চিকিৎসার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। আমরা এখানে ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ সংগ্রাম করছি এর দায়ভার কি সরকার নেবে। আমাদের কাছে টাকাও নেই। আমরা ভোর ৬টা থেকে এখানে আটকে আছি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের কারণে আটকা পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য আবেদন করেছে। পর্যায়ক্রমে এসে বাংলাদেশিসহ যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তারচেয়ে কম তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় দেশটির সঙ্গে সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার, যা আজ থেকে আগামী ৯ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তারও কম রয়েছে, তারা যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।