সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তিনটি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রবি পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টোরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।
ঘটনার প্রতিবাদ করলে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিনকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন ও রবি থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের হুমকি দেন। এতে ভয়ে তুহিন সোমবার রাত ৭টার দিকে দ্বারিয়াপুরের শাহমখদুম ছাত্রাবাসের নিজকক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘুমের বড়ি সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ৮টার দিকে তার সহপাঠিরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।
বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাতেই রবি ক্যাম্পাসে ছুটে এসে বিক্ষোভ করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তাদের এ বিক্ষোভ চলে। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবারও বিক্ষোভ শুরু করলে রবি ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে।এ বিষয়ে জানতে রবির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষিকা ইয়াসমিন বাতেন মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। রবির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার ওপর অর্পিত তিনটি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে স্থায়ী অপসারণের বিষয়ে তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।