সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Saturday, May 10, 2025
  • Login
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
সময়ের দাবী
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
No Result
View All Result
সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Home জাতীয়

তিন দেশ সফরের বিবরণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

May 15, 2023
in জাতীয়
Reading Time: 1min read
A A
0
তিন দেশ সফরের বিবরণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
Share on FacebookShare on Twitter

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য- এই তিনটি দেশ সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৫ মে) বিকেল চারটায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সরকারপ্রধান লিখিত বক্তব্যে তিন দেশ সফরের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। শুরুতেই আমি পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোথার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে আমাদের রক্ষা করার জন্য। আমরা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, নানা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় ৭০৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুনবার্সন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত আমি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করি। ৯ মে দেশে ফিরে আসি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাপান সফর: জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে আমি ২৫ এপ্রিল ২০২৩ জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছাই। ২৬ এপ্রিল সকালে আমি জাপানের মহামহিম সম্রাট নারুহিত্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করি। মহামহিম সম্রাট আমাকে স্বাগত জানান এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ঐ দিন সন্ধ্যায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী আমাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিজ কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। আমার এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশিদারিত্বে’ উন্নীত হয়েছে। এই বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদন, বিগ-বি প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারকরণ, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, জাপান ওভারসিজ কোঅপারেশন ভলান্টিয়ার প্রকল্প পুনরায় চালু করা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ, মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, ঢাকা-টোকিও সরাসরি বিমান চলাচল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন বাজেট সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। বৈঠকে আমি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য জাপানের সহযোগিতা চাই। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের এই সূচনালগ্নে উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, মেট্রোরেল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডেশন, শিপ রিসাইক্লিং, কাস্টমস ম্যাটারস, ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি, ডিফেন্স কোঅপারেশন, আইসিটি এবং সাইবার সিকিউরিটি কো-অপারেশন ইত্যাদি খাতে মোট আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়াও, আমি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের রূপরেখার উপর একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করি। পরে আমার সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেই। দু’দেশের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক ছাড়াও কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী, জাইকার প্রেসিডেন্ট, জেটরোর চেয়ারম্যান ও সিইও, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (জেবিসিসিইসি)-এর চেয়ারম্যান এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগ (জেবিপিএফএল)-এর প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহধর্মিণী, এবং জেবিক-এর প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৭ এপ্রিল টোকিও’র ওয়েস্টিন হোটেলে জাপানের খ্যাতনামা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের সিইও ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমি মিট-এন্ড-টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। এরপরে আমি একই হোটেলে আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে যোগ সেই। জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমি বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্জিত অভূতপূর্ব উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের আহ্বান জানাই। এসময়ে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোট এগারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরপর আমি জাপানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন (মিরাইকান মিউজিয়াম) পরিদর্শন করি। বিকেলে জাপানের খ্যাতনামা স্থপতি তাদাও আনদো আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময়ে স্থপতি তারাও আনদো আর্কিটেক্ট অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে ঢাকায় একটি চিলড্রেনস লাইব্রেরি স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, স্বাক্ষরিত হয়। ঐদিন বিকেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্যে আমি চারজন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন। ওয়ার অনার’ প্রদানের জন্যে আকাসাকা প্যালেসে এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ হচ্ছেন: আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিস্টার তানাতেরু কোনোয়ে, প্রফেসর গিয়ালপো পেমা, রাজনীতিবিদ মিস্টার হিদিও তাকানো (মরণোত্তর) এবং ফটো সাংবাদিক মিস্টার তাইজো ইচিনোসে (মরণোত্তর)। ঐদিন বিকেলে আমি এনএইচকে এবং নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার প্রদান করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এরপর, টোকিওর ওয়েস্টিন হোটেলে আমি জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেই। যুক্তরাষ্ট্র সফর: বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে আমি ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি সি-তে পৌঁছাই।’

যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথমদিনে ২৯ এপ্রিল অপরাহে আমার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ স্থাপন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং কোভিড-১৯ মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন। আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সব বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিনো যেতে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল। হিসেবে অভিহিত করেন। আমি আইএমএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বাংলাদেশে সরকারের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন উদ্যোগে আইএমএফ-এর সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা আমার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১ মে সকালে বিশ্বব্যাংকের সদরদফতরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উপর ” Reflection on 50 years of Bangladesh World Bank Partnership ” শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে আমি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান। করি। আমি আমার বক্তব্যে ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান-ভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে দারিদ্র্য নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য শিক্ষণীয়। ডেভিড মালপাস উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে বলেছি, বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ কখনই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ঋণের ফাঁদে পড়েনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞই দেশের ভবিষ্যৎ নিবো সন্দিহান ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রচেষ্টায় আমাদের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করা সম্ভব। অনুষ্ঠানের শেষে আমি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসকে পদ্মা সেতুর একটি বাঁধাই করা ছবি উপহার দিই। আলোচনা অনুষ্ঠানটি শেষে আমার ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, দুর্যাগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২.২৫ বিলিয়ন কোটি মার্কিন ডলারের পাঁচটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চুক্তিসমূহে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিগুলো হলো- ১। রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট। এটি ৫০ কোটি (৫০০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের প্রকল্প। এটি ‘ডেলটা প্ল্যান ২১০০” বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প, যা অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা করবে। ২। বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি) প্রকল্প। ২৫ কোটি (২৫০ মিলি) মার্কিন ডলারের প্রকল্প। ৩) অ্যাকসেলারেটর, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস) বাংলাদেশ ফেজ-১০৭৫ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার (৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের প্রকল্প। ৪। ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) প্রকল্প: এটি ৫০ কোটি (৫০০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের প্রকল্প। দেশকে সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে। ইক্রোএন্টারলাইল অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (এসএমএআরটি) প্রকল্প। ২৫ কোটি (২৫০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের প্রকল্প। একই দিনে আমি ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নগাঁথার উপর উপস্থাপিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর উদ্বোধন করি। বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরস এর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়।’

সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২ মে সকালে আমার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে আমি “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণে বিশ্বব্যাংককে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। একই দিনে, US-Bangladesh Business Council-এর ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার একটি একান্ত বৈঠক হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আমি মূলবক্তা হিসেবে বক্তব্য উপস্থিত ছিলাম। আমার বক্তব্যে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিবৃন্দের নিকট বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগসমূহ ও প্রণোদনার কথা তুলে ধরি এবং দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর বিশেষ জোর নেই। অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক পরিস্থিতি ও বিনিয়োগ পরিবেশ বিষয়ে আলোকপাত করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে US Chamber of Commerce-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ সুজানে পি ক্লার্ক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া, সন্ধ্যায় “দি ইকোনমিস্ট” আমার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। ঐদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকবৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেই। সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি.সি. সফর উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সুসংহত অংশীদারিত্বের প্রতিফলন।’

যুক্তরাজ্য সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের মহামহিম রাজার পক্ষ থেকে তাঁর এবং রাণী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক ও অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ এবং কমনওয়েলৰ সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমি ৪ থেকে ৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করি। ৫ মে বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে মহামহিম রাজা তৃতীয় চার্লস এবং রাণী ক্যামিলা’র অভ্যর্থনা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবিতে রাজা এবং রাণীর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আমি অভ্যর্থনা এবং রাজ্যাভিষেক উভয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। মার্লবোরো হাউসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে আমি মহামহিম রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এ সময় আমি রাজা ও রাণীকে অভিনন্দন জানাই ও তাদের বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানাই। ৫ মে বিকেলে মার্লবোরো হাউসে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল আয়োজিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একইদিন মার্লবোরো হাউসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। আমি এশিয়ান ঐতিহ্যের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ঋষি সুনাককে অভিনন্দন জানাই। তিনি বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও, তিনি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। আমি রোহিঙ্গা বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া, আমি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানাই এবং তিনি তাতে ইতিবাচক সাড়া দেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৬ মে লন্ডনের আমার হোটেল সুইট যুক্তরাজ্যের পাঠে মন্ত্রী জেমসকে আমার সাথে সৌজন্য স্বাক্ষর করেন। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে, জনিনের রাজার আমহের কেন্দ্রবিন্দু। এ দুই ক্ষেত্রে বাংলাদশের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ রাজার কাছে অত্বপূর্ণ দেশ। Bangladesh-UK Climate Accord Aviation Partnership দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আগামীতে যুক্তরাজ্য সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াত্মক ও রাণী জেতসুন পেমা আমার হোটেল সাইটে। আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষর করেন। এ সময় আমার ছোটবোন শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। ৭. মে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারোনেস প্যাট্রলিয়া কটল্যান্ড আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আমাকে কমনওয়েলথের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ডিজিটালাইজেশন, ই-গভর্ন্যাল ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন এবং এসব হতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কমনওয়েলথের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সাবে বিনিময়ের অনুরোধ জানান। এ তিনি আগামী COP-28-এর আগে কমনওয়েলথের পরিবেশমন্ত্রীদের একটি সম্মেলন আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান। একই দিনে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষর করেন। আমি ৭ মে লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায় অংশগ্রহণ করি । এ সফরে আমি বিবিসিকেও একটি সাক্ষাৎকার দেই। আমার এ সফরের সময় বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাজ্যের সরকারের মধ্যে Aviation Trade and Investment Partnership বিষয়ে একটি Joint Communiqué স্বাক্ষরিত হয়। যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষে Minister of State in the Department for Business and Trade Lord Dominic Johnson এবং আমার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ Joint Communique-তে স্বাক্ষর করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ Joint Communiqué-তে এভিয়েশন খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময়, এবং বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে দক্ষ, নিরাপদ ও টেকসই করার আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এছাড়াও, কমনওয়েলথ-এ বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

Share61Tweet38Share15
Previous Post

বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুদককে নির্দেশ হাইকোর্টের

Next Post

আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি, তাদের ওপর নির্ভরশীল নই

Related Posts

আ.লীগ নিষিদ্ধের ক্ষমতা সরকারের হাতেই আছে : অ্যাটর্নি জেনারেল
জাতীয়

আ.লীগ নিষিদ্ধের ক্ষমতা সরকারের হাতেই আছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

May 10, 2025
দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’ : নাহিদ ইসলাম
জাতীয়

দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’ : নাহিদ ইসলাম

May 10, 2025
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার
জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দাখিল সোমবার

May 9, 2025
সরকারের বিবেচনায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি
জাতীয়

সরকারের বিবেচনায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি

May 9, 2025
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার বিবেচনা করছে, দ্রুতই সিদ্ধান্ত
জাতীয়

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার বিবেচনা করছে, দ্রুতই সিদ্ধান্ত

May 9, 2025
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, যা বললেন আসিফ নজরুল
জাতীয়

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, যা বললেন আসিফ নজরুল

May 9, 2025
Next Post
আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি, তাদের ওপর নির্ভরশীল নই

আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি, তাদের ওপর নির্ভরশীল নই

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

আ.লীগ নিষিদ্ধের ক্ষমতা সরকারের হাতেই আছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

আ.লীগ নিষিদ্ধের ক্ষমতা সরকারের হাতেই আছে : অ্যাটর্নি জেনারেল

May 10, 2025

Categories

  • Uncategorized
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • জাতীয়
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • বিনোদন
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা
  • সময়ের দাবী
  • সম্পাদকীয়

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Privacy & Policy
সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা