বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথাই আবার তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তিন দলই আস্থা রাখছে।
তিন দলের বৈঠক শেষে শনিবার (২৪ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
হঠাৎ বদলে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে টানা আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিদ্যমান পরিস্থিতি, নির্বাচন ও সংস্কার ছাড়াও নিজ নিজ দলের অবস্থান ও দাবি তুলে ধরেছে দলগুলো।
তিন দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সব দলই প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতি দলগুলো আস্থা রেখেছে। কেউ তার পদত্যাগ দাবি করেনি। বরং তাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সময় দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
তিনটি দল সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে। সে জায়গা থেকে সরকারের কাছ থেকে এ সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপটা আসলে কবে পাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, প্রফেসর ইউনূস বারবার বলেছেন, ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। ৩০ তারিখটা একটা সুনির্দিষ্ট ডেট। এর বাইরে যাবে না। উনি এক কথার মানুষ।
নির্বাচন নিয়ে তিনটি দলের বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে এনসিপি ও জামায়াত দ্বিমত পোষণ করেনি। তবে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে চেয়েছে। সব দলই জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে তাদের আস্থা আছে। তার অধীনেই সবাই নির্বাচন চেয়েছে।
তিনি বলেন, খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। এনসিপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের সব নির্বাচন বাতিল চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এনিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি। সব দলের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আছে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সরকার কিছু বলেনি।
এনসিপির দাবির বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, এনসিপি মনে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্ভব না, তারা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে বলেও জানান তিনি।