টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার উত্তর গেরামারা গ্রামে দেওহাটা-গেড়ামারা-ধামরাই রোডে খালের ওপর ব্রিজ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে তিন উপজেলাবাসী। প্রায় ৪৯ বছর ধরে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। একটি পাকা ব্রিজের অভাবে তিন উপজেলার সঙ্গে যানবাহন দিয়ে সরাসরি যোগাযোগও বন্ধ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। উপজেলা প্রকৌশল অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, গেরামারা গ্রামের খালের ওপর ৪০ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
সোমবার দেওহাটা-গোরামারা-ধামরাই রোডে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যোগাযোগের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র। খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় কৃষি নির্ভর এলাকাবাসী উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গেরামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিউটোন গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বাবলু জানান, ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের সহজ রাস্তা হচ্ছে দেওহাটা-গেরামারা-ধামরাই রোড। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার আশপাশে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। মির্জাপুর, ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। উত্তর গেরামারা গ্রামের খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। এর ফলে তিন উপজেলাবাসী সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন।
এলাকাবাসীর পক্ষে সাবেক ছাত্র নেতা মো. মামুনুর রশিদ ও সুজন মিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ মিটার পাকা ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও অনুমোদন চেয়ে দুই এক দিনের মধ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেন তিনি।