খালেদা জিয়া নয়, আগামীতে আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে- বেগম জিয়াকে নির্বাচনে যেতে দেওয়া যাবে না। রাজনীতি করতে দেওয়া হবে। আরে আপনারা কে? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছেন। এখানে কোনও আইনের শাসন নেই। আর আইনের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ)।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
খসরু বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় কতগুলো মামলা ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে? বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। ক্ষমতা এসে তার বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আগামীতে ১/১১ মামলাসহ গত ১২ বছরের খুন-গুম, হত্যা, মিথ্যা, গায়েবি মামলাসহ, আকাশচুম্বী দুর্নীতির মামলা সব যদি যোগ করা হয়, তাহলে ৩০০ সিটের (আসন) মধ্যে একটি সিটেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলে তাদের সমস্ত মামলা চালু করা হবে বলে উল্লেখ করে খসরু বলেন, এসব মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের জেলেও যেতে হবে। সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সবাই দুর্নীতিবাজ, হত্যাকারী। গুমের সঙ্গে অংশীদার। সুতরাং কথা হিসাব করে বলবেন। কথায় আছে, ভাবিয়া করিও কাজ। করিয়া ভাবিও না।
খালেদা জিয়ার রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন, যারা ভোট চোর তাদের দেশ পাহারার দায়িত্ব দেওয়া যায় না। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এদের বিতাড়িত করলেই দেশ নিরাপদ। আমাদের আন্দোলন ভোট চোরের বিরুদ্ধে। যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে।
সরকারবিরোধী আন্দোলন ঘিরে কাউকে জেলে নিলে লাভ হবে না বলে উল্লেখ করে খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি। বিএনপির আজকে লাখ-লাখ সৈনিক রাস্তায় নেমেছে। এই লাখ সৈনিকের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে এখন সবাই নেতা হয়ে গেছে। আমাদের প্রত্যেকটি কর্মী এখন নেতা হয়ে গেছে।
অনষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালি।