ক্রিকেট মাঠের সঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজনের সখ্য কতটা এটা কমবেশি সবারই জানা। তাকে নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে সেসব সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না টাইগারদের এই টিম লিডার। কিছু দিন আগে সুজনকে নিয়ে করা কিংবদন্তি ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মন্তব্যে বেশ চটেছেন এই টিম লিডার।
গতকাল সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শ্রীরামের প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমে কথা বলেছিলেন সুজন। সেখানে তাকে নিয়ে করা সেই মন্তব্যের জবাব দেন সাবেক এই অধিনায়ক।
কারোর নাম উল্লেখ না করে সুজন বলেন, ‘উনার কী যোগ্যতা আছে আমার ব্যাপারে কথা বলার, সেটাই আমি জানি না আসলে।’
উল্টো সুজনকে নিয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তির যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন সুজন। তখন জানান, আমার সমালোচনা করা ব্যক্তিকে বোর্ডে কাজ করা আমন্ত্রণ জানিয়েছি তখন তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে সুজন বলেন, ‘উনার যোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। খেলা ছাড়ার পর থেকে আমি ক্রিকেটের সঙ্গেই আছি। ন্যূনতম একটা বেতনে সাড়ে ৪ বছর বিসিবিতে কাজ করেছি। আপনাদের মাধ্যমেই সবসময় শুনি, উনি বাংলাদেশে কাজ করতে চান।
আমার তো এগুলো সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা। আমি নিজেই উনাকে প্রস্তাব দিয়েছি বাংলাদেশে কাজ করতে। উনি কোনোদিনই আমাকে জানাননি যে কাজ করতে চান। উনি প্রতিবারই এরকম হাইপ তোলেন। কিন্তু আমাকে বলেন, উনি কোন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করেছেন আসলে। উনি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে একবারই কাজ করেছেন, যে বার আবাহনীর সঙ্গে কাজ করেছেন।’
সুজন আরও বলেন, ‘উনি চীন, ব্যাংকক, ফিলিপাইন… ওখানে অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কাজ করেছেন। ওখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোথায় পেলেন। সুতরাং ওনার যোগ্যতাটা কোথায়? আমি অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ করেছি। বাংলাদেশের হেড কোচও ছিলাম।’
সুজন আসলে কিসের ভিত্তিতে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই দীর্ঘদিন ধরে জমা রয়েছে। সেটার উত্তর আজ সুজন নিজ মুখে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার যোগ্যতা… আমি বিসিবিতে আছি। আমি তো নির্বাচিত পরিচালক। নির্বাচন করে জিতে বোর্ডে এসেছি। ওখান থেকে আমাদের টিম ডিরেক্টর করা হয়েছে। বোর্ডের প্রেসিডেন্ট আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, উনি কেন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলতে পারব না। এটা তো আমি চেয়ে নেইনি।’
অন্যকে নিয়ে মন্তব্য করার আগে নিজের জায়গাটা কোথায় এটা অবশ্যই ভাবতে হয়। কে খারাপ কে ভালো এটা বিচার করার অধিকার তার যেমন নেই আমারো তেমন নেই। উনি সিনিয়র, ওনাকে শ্রদ্ধা করি।
এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘আমি আর কিছু নিয়ে বলতে চাই না। একটা মানুষকে নিয়ে যখন বলবো, তখন নিজের যোগ্যতা নিয়েও চিন্তা করা উচিত যে আমি কতটুকু পারি না পারি। কে ভালো কে খারাপ এটা বিচার করার অধিকার তার যেমন নেই, আমারও নেই। তাই এটা নিয়ে আমি বলতেও চাই না। উনি বড়, উনাকে সেই শ্রদ্ধাটা আমি সবসময় করি, করবো।’