দুদকের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফেরাতে যা যা দরকার সব করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিবি বলেন, ‘তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার আমরা করব।’
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। চার দফা দাবিতে যুবলীগের পক্ষে থেকে স্মারকলিপি নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে যে চারটি দাবি করা হয় তার মধ্যে তারেক ও জুবাইদাকে ফিরিয়ে আনার কথাও রয়েছে।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর আর দেশে ফেরেননি। প্রবাসে থেকেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। মা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন।
বিদেশে থাকাবস্থায়ই মোট পাঁচটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় আসে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থপাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে আগস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় তার।
সর্বশেষ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৯ বছরের কারাদণ্ড হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। গত ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দেওয়া রায়ে তারেকের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার যুবলীগের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সমস্ত ঘটনা জানি। এরই মধ্যে তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করার আমরা করব।