আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় দিয়ে শুরু। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ হার। সবশেষ ভারতের ইডেনে গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের দেয়া ২৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে গেল ৪২.২ ওভারে ১৪২ রানে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ম্যাচে ডাচদের জয় ৮৭ রানে। এমন হারের কারণ আসলে খোঁজা যায় না। যার একটাই সংজ্ঞা- ‘লজ্জা।’ তবুও যদি কারণ খুঁজতে হয়, তার পুরোটা জুড়েই রয়েছে কেবল দায়িত্বহীনতা। অথচ ২০১১ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে ডাচরা। এমন লজ্জাজনক হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সেখানে সাকিবকে প্রশ্ন করা হয় এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসের বাজে বিশ্বকাপ কি না। জবাবে সাকিব বলেন, ‘এটা আপনি নির্ধিধায় বলতে পারেন, আমি দ্বিমত পোষণ করব না। এটা বাংলাদেশের স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।
’দলের এমন হারের পিছনে বিশ্বকাপের আগে তামিম ইস্যু দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে কি না। এমন প্রশ্নে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘ফেলতেই পারে, অস্বাভাবিক কিছু না। ব্যক্তি বিশেষের মনের ভেতর কী আছে, এটা বলা মুশকিল। আপনি যেটা বলছেন সেটায় আমি অসম্মতি জানাচ্ছি না। ফেলতেই পারে।’
এছাড়া এমন হারের বৃত্তে থাকাই বাংলাদেশকে দল বলে মনে হচ্ছে না সাকিবের। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা সংগ্রাম করছি নিজেদের সঙ্গে। আমাদের মাথায় কি চলছে আমার জানা নেই। এই দলটিকে দেখে বাংলাদেশ দল মনে হচ্ছে না। সমর্থকরা আমদের ভালো ও খারাপ সময়ে সাথেই ছিল।’
ডাচদের বিপক্ষে হারের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নেদারল্যান্ডসকে ১৬০-১৭০ এর ভেতর আটকে রাখা উচিত ছিল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই আমরা ব্যাটিংয়ে খারাপ করছি। এর থেকে খারাপ আর হতে পারে না। এখান থেকে বের হওয়া কঠিন।’