বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে আজ বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তামিম ইকবাল। বৈঠক শেষে টাইগার এই ওপেনার গণমাধ্যমে কিছু না জানালেও কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি।
জানা যায়, বেলা বারোটায় নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানস্থ বাসভবনে প্রবেশ করেন তামিম। এরপর ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে তামিম-পাপনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক।পাপনের বাসভবন থেকে বেলা দেড়টার কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে যান তামিম। গণমাধ্যমের সঙ্গে এদিন কোনো ধরণের কথাই বলেননি টাইগার এই ওপেনার।
তামিম কথা না বললেও কথা বলেছেন পাপন। জানিয়েছেন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন তামিম। বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদ শেষের দিকে, দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’
আরও যোগ করেন, তামিম কিছু কথা বলেছে। কিন্তু এমন একটা সময় বলেছে যে আমার হাতে একদম সময় নেই। আর এক মাস পর আমার নির্বাচন। তাই এখন আমার এলাকাতেই থাকছি সবচেয়ে বেশি। আমি ওকে বলেছি দেখো, নির্বাচন শেষে এসেই যে আমি তোমার সব কথা শুনবো তেমন কিন্তু না। আমি কারো কথায় কিছু করবো না, আগে আমাকে নিজে জানতে হবে সমস্যাটা কোথায় এবং আমি ডিপে ঢুকে সমস্যাটা জানতে চাই।
পাপন বলেন, ‘একজন একেকটা কথা বলবে। ওটা শুনে সিদ্ধান্ত নেবো, তার মধ্যে আমি নাই। আমি নিজে ভেতরে ঢুকবো। আগে যেমন আমি সব জানতাম, এখন জানি না। এটা তামিমও স্বীকার করলো যে হ্যাঁ আপনি জানেন না। খালি তোমার সঙ্গে কথা বলে তো না, আমি সবার সঙ্গে কথা বলে গভীরে যাবো। যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয় নেবো। কে পছন্দ না করলো, তাতে কিছু যায় আসে না। ক্রিকেটের স্বার্থে যা যা সিদ্ধান্ত নিতে হয়, আমি নেবো।’
বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ার আগে সব গুছিয়ে যেতে চান পাপন। বলেন, ‘আমি বেশিদিন নাই। এই টার্মটা তো আর বেশি দিন নাই। এরপর আর এক বছর আছে। যাওয়ার আগে অবশ্যই আমি দলটা ঠিক করে যাবো। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাবো। সেটা ঠিক হবে কি না আমি জানি না। আমি যেটা মনে করি করা দরকার, ওটা করবো। সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও আমি নেবো।’
গেল ২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর জাতীয় দলের হয়ে দেখা যায়নি তামিমকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে না থাকার পর থেকেই ক্রিকেট থেকে অনেকটা দূরে আছেন টাইগার এই ওপেনার।