মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এমন প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
আত্মা’র পক্ষ থেকে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের নিম্ন এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকার খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে স্বল্প আয়ের ধূমপায়ী ধূমপান ছাড়তে বিশেষভাবে উৎসাহিত হবে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্ম ধূমপান শুরু করতেও নিরুৎসাহিত হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এ ছাড়া, প্রতি ১০ শলাকা উচ্চ স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা এবং প্রিমিয়াম স্তরের প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এই তিনটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
প্রাক-বাজেট সভায় ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয। এ ছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সিগারেটের ব্র্যান্ডরোল থেকে আমরা কর পাই। কাস্টমস থেকে আমরা ব্র্যান্ডরোল ছাপাই। সেটা ডিসি অফিসে দেই। অথচ এরা নিজেরা-নিজেরা ছাপায় এমনকি বিদেশ থেকেও ছাপিয়ে নিয়ে আসে, জাল ব্র্যান্ডরোল। আমরা ডিজিটাল করছি, যেন জাল-জালিয়াতি না করতে পারে। সিগারেটের দাম বাড়ালে খুশি হয়, কারণ এতে কোম্পানির প্রফিট মার্জিন বাড়ে। আর কর বাড়ালে খুশি হয় না। এটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে।