আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আগামী অর্থবছরে জিডিপির অন্তত দশমিক ৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর রাজস্ব আদায় করতে হবে। অর্থাৎ কমপক্ষে ৬৫ হাজার কোটি টাকা কর আদায় বাড়াতে হবে। তামাকের দাম বাড়িয়ে বাড়তি করের উল্লেখযোগ্য অর্থ আদায় সম্ভব বলে মনে করে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (এটিএমএ)।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় সংগঠনটি সব সিগারেট ব্র্যান্ডে সম্পূরক শুল্ক খুচরামূল্য ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন সিগারেটে এ হার ৪৫ শতাংশ করা, জর্দা এবং গুলের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে এটিএমএ।
অন্যদিকে ইলেকট্রিক ভেহিকলকে (ইভি) বা বৈদ্যুতিক মোটরযানকে পরিবেশবান্ধব উল্লেখ করে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই)।
বিসিসিসিআই বলছে, ইলেকট্রিক মোটরযান (বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, বাস, ট্রাক, গল্ফ কার্ট, ফর্কলিফ্ট) আমদানিতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুল্কমুক্ত অথবা শুল্ক কমিয়ে আনা ও প্রয়োজনে মূল্য নির্ধারণ করা জরুরি। এসব পণ্যে এইচএস কোড সঠিকভাবে নিরূপণ করে মোটরযানগুলোকে কমপ্লিট বিল্ট-আপ ইউনিটস (সিবিইউ) এবং সেমি নকড ডাউন (সিকেডি) আলাদা করা প্রয়োজন। এছাড়া সিকেডির কন্ডিশন অনুযায়ী সিবিইউয়ের পার্থক্য ২৫ শতাংশ করার দাবি জানায় বিসিসিসিআই।
আইবিসিসিআই তাদের প্রস্তাবে জানায়, তিন চাকার সিএনজি, এলএনজি, এলপিজিচালিত গাড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিকাশ ও প্রসারের লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে কতিপয় শর্ত পালন সাপেক্ষে উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূসক, শুল্ক ও করের রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে চেসিস, রিয়ারবডি, শক এবজরবার, মাফলার উৎপানের সক্ষমতা। এ শর্ত সংশোধনের মাধ্যমে মূসক শুল্ক ও করের রেয়াতি সুবিধাসমূহের জন্য যোগ্য বিবেচনা করতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে প্রাক-বাজেট আলোচনায় উইমেন চেম্বার, ওয়েন্ড অ্যাসোসিয়েশন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (আইবিসিসিআই) ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (এটিএমএ) অংশ নেয়। এসময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।