দেশের খুলনা বিভাগের চার জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। গরম কিছুটা বেড়ে তাপপ্রবাহের আওতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এখন দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। মঙ্গলবার (৭ জুন) বরিশাল ও খুলনা বিভাগে বলতে গেলে বৃষ্টি হয়নি। সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে শ্রীমঙ্গলে, ১০৪ মিলিমিটার। এসময়ে ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও ভ্যাপসা গরমে নগরজীবনে অস্বস্তি রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে মেঘে মেঘে বৃষ্টি নামার আবহ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থেকে বিস্তার লাভ করতে পারে।
বুধবার (৮ জুন) সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো খুলনায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।