এরইমধ্যে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিশা। বেশ কিছুদিন ধরে সাইবার বুলিংইয়ের শিকার তিনি। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতেই ডিবি অফিসে গেছেন বলে জানান অভিনেত্রী।
ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিশা বলেন, ডিবি অফিস একটা আস্থার জায়গা। আমরা যারা সাইবার বুলিং এবং নানা ধরনের হ্যারেজমেন্টের শিকার হই, তারা এখানে এসে সহায়তা চান। বিশেষ করে তারকারা এখানে আসেন। হারুন স্যারের সাহায্য নেন। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আজকে আমি আপনাদের কারণে তারকা, আপনারাও আমাদের জন্য। আমি তানজিন তিশা আজকে এখানে এসেছি শুধুমাত্র শেষ ক’দিন ধরে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি এ কারণে।
আরও বলেন, স্ট্যাটাস দিয়ে আমি যদি আমার অবস্থান পরিস্কার করতে চাই, সেটা নিয়েও বুলিং হ্যারেজমেন্টের শিকার হচ্ছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, হারুন স্যারের কাছে আসলে বা ডিবি অফিসে আসলে আমি তাদের একটা হেল্প পাবো। এই জন্য আজ আমি ডিবি অফিসে এসেছি।
তিশা বলেন, আমি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি আমাকে যে টেক্সট পাঠিয়ে প্রশ্ন করেছেন সেই বিষয়ে পাবলিকলি কিছু জানাতে চাই না। তার টেক্সট পেয়ে তাকে কল করে কথা বলি। সেই কথাগুলো তিনি অনলাইনে ছেড়েছেন। একজন নারী হিসেবে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে এটা মোটেও কাম্য ছিল না। শুধু তার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করছি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
এ প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, তানজিন তিশা সাইবার বুলিংয়ের সমস্যায় পড়ে ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন। তার অভিযোগটি পেয়েছি। সাইবার নর্থ ডিভিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব তার সঙ্গে আসলে কী হয়েছে।
ডিবি প্রধান আরও বলেন,তিশা কোনো সাংবাদিকের কথা বলেননি, বলেছেন একজন ব্যক্তি তাকে টেক্সট দিয়েছে। সবকিছু যাচাই বাছাই করে তদন্তের পর জানাতে পারব।
কদিন আগে আত্মহত্যার চেষ্টার খবর এসেছিল তিশার। জানা গিয়েছিল অভিনেতা মুশফিকের সঙ্গে প্রেমে ছন্দপতন ঘটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
তবে পরে সামাজিক মাধ্যমে এসে তিশা জানান আত্মহত্যার খবরটি ভুল। সেইসঙ্গে এক হাত নেন সাংবাদিকদের। বাজে আচরণ করেন। এক সংবাদকর্মীকে উড়িয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেন।