আবারও সৈয়দ আহমেদ শাওকীর নির্মাণে হাজির হচ্ছেন দেশের শীর্ষ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। নতুন ওয়েব সিরিজের নাম ‘কারাগার’। নির্মাতা শাওকী ও অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর রসায়ন এরইমধ্যে দর্শকদের ভেতরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা যেমন পেয়েছে, তেমনি দর্শকমনে নতুন কৌতুহলও তৈরি করেছে। ওটিটি প্লাটফর্ম হৈচৈ-এর ব্যানারে তাকদ্বীর ছিল মূলত প্রথম কোনো বাংলা সিরিজ, যা হৈচৈ-এর প্লাটফর্মে সত্যিকারের হৈচৈ তোলে। নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীও মুন্সিয়ানা দেখান তার দর্শকদের।
নতুন সিরিজটি প্রসঙ্গে নির্মাতা শাওকী বলেন, ‘আমরা খুব জলদিই শুটিং শুরু করবো। এখন প্রি-প্রডাকশনের কাজ চলছে। নতুন গল্প বা চরিত্রগুলো কেমন হবে, তা তো এখনই বলা যাবে না। তবে স্বাভাবিকভাবেই তাকদ্বীর-এর পরে দর্শকদের ভেতরে যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে, তার একটা দায় তো থাকেই নির্মাতা হিসেবে। সেটা মেটানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।’ এদেশের অভিনয় শিল্পে বরাবরই এক মুগ্ধতার নাম চঞ্চল চৌধুরী। বিশেষ করে তার অভিনীত চলচ্চিত্র বা ওয়েব সিরিজ মানেই ভিন্ন কিছু।
সেই চেষ্টাতেই এবারও নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’-এ নতুন এক চঞ্চল চৌধুরীকে পাবেন দর্শকরা সেটি প্রত্যাশা করাই যায়। আগামী সপ্তাহ থেকে কারাগার-এর কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সকল প্রস্তুতি শেষ। টানা এক মাস শুটিং চলবে। শাওকী খুব যত্ন নিয়ে ওর কাজটা করে। আসলে নির্মাতা-অভিনেতা যার যার কাজে সততার সঙ্গে করলে সেটা দর্শকের মন কাড়বেই। আমি আমার দর্শকদের কাছে তাই নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি।’
উল্লেখ্য, কারাগার সিরিজটির বাইরে ঈদে অন্যান্য কাজও মুক্তি পাবে। এছাড়াও মেজবাউর রহমান সুমনের নির্দেশনায় একটি টেলিকম কোম্পানির টিভিসির কাজে আজ ঢাকার বাইরে যাবেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘কারাগার’ সিরিজটি কবে রিলিজ পাবে?—এমন প্রশ্নে নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো কাজটা পরিপূর্ণভাবে শেষ করে জমা দেওয়া। এখন সেটা তাদের বিপণন কৌশল অনুযায়ী তারা রিলিজ দেবে। তাই সঠিক তারিখ আসলে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’