ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা বলেছেন, কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ ভূখণ্ড একা নয়। একই সঙ্গে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হওয়া স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাইওয়ানের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায় চীনের বেয়াড়া এই স্বশাসিত দ্বীপ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের আকাশসীমায় বারবার যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সামরিক চাপ বৃদ্ধি করছে। বেইজিং এই দ্বীপ ভূখণ্ডের মালিকানা দাবির পাশাপাশি প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণেরও হুমকি দিয়ে রেখেছে।
বৈঠকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি সদস্য রাফায়েল গ্লুকসমান বলেন, আমরা এখানে এসেছি খুবই সাধারণ, খুব স্পষ্ট বার্তা নিয়ে : আপনারা একা নন। ইউরোপ আপনাদের পাশে আছে।
গ্লুকসমান বলেন, ‘আমাদের এই সফরকে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। শক্তিশালী ইইউ-তাইওয়ান অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য পরবর্তীতে আমাদের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা এবং একসঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি কমিটির আয়োজিত তিন দিনের এই সফরে ভুয়া তথ্য এবং সাইবার হামলার হুমকির বিষয়ে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত-বিনিময় করবেন তারা।