ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের এক দফা দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাহমুদ অপু। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আমাদের বিষয়ে আগামী ২৯ আগস্ট ঢাবির সিনেট ভবনে বিশেষ পরামর্শ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টাকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছি।
রোববার (২৭ আগস্ট) নীলক্ষেত মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর পরপরই তারা সড়ক ছেড়ে গেছেন। এতে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
অপু বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন তারা আমাদের দাবির ব্যাপারে ইতিবাচক। তারা আমাদেরকে পরবর্তী বর্ষের পড়াশোনার প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।’
এর আগে, ঢাবির সিজিপিএ নীতিমালার শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবিতে নীলক্ষেতে অবরোধ, প্রেসক্লাবে অনশনসহ বিভিন্নভাবে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন সাত কলেজের স্নাতকের (২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯, ২০১৯-২০২০ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা।
তাদের এক দফা দাবিটি ছিল নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে। তবে ঢাবির প্রশাসন সিজিপিএ শর্তে এখন পর্যন্ত নিজেদের অনড় অবস্থান বজায় রেখে ছিলেন। যার ফলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে দোটানায় পড়েছিলেন সাত কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী।
এমন পরিস্থিতিতে নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনের আন্দোলনে সাত কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শাহরিয়ার মাহমুদ অপু বলেন, এখনও ঢাকা মেডিকেলসহ আশেপাশের বিভিন্ন মেডিকেলে ১৩ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।