মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, নিউ ইয়র্কের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, তিনি বলেছেন যে খুব তাড়াতাড়ি তাদের ওখান একটি টিম আসবে, সেই টিম এসে এটি ফাইনাল করবে।
রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে ৪০ মিনিট আলোচনা করেছেন বলেও জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন ও বেসামরিক বিমানের উন্নয়নে আমরা যে একসঙ্গে কাজ করেছি এবং আগামীতেও কাজ করবো, এ বিষয়ে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জানান, আমি বলেছি, আগামীতে তারা আমাদের কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটা যেন তারা জানায়। তারা অবশ্যই চাই, বাংলাদেশের বিমানের সঙ্গে বোয়িং বিমান যুক্ত হোক। আমরা বলেছি, আমরা এটির মূল্যায়ন করছি, যেটা ভালো হবে, সেটা আমরা নেব।
ফারুক খান বলেন, তাকে বলেছি- বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারিত্ব রয়েছে, সেটা অতীতে হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় হয়ত আমাদের মতের মিল হয়নি, কিন্তু তারপরেও আমরা আমাদের বন্ধুত্বের স্বার্থে আলোচনা করেছি ও সমস্যার সমাধান করেছি।
সম্প্রতি আমেরিকা আমাদের জানিয়েছি, তারা ফের আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাবে- বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
বিমানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদ প্রকাশ করেছি, আগামীতে সব বিষয়ে, বিশেষ করে পর্যটন ও বেসামরিক বিমান নিয়ে আমরা কাজ করবো। নিউইয়র্কে আমাদের যে স্লট রয়েছে, সেটা যাতে আমরা তাড়াতাড়ি পেতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
নতুন কোনো বোয়িং কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখানে তো কেনাবেচার জন্য বসিনি, আমরা বলেছি, আমরা নতুন এয়ারক্র্যাফট কিনবো, তবে যেখান থেকে বাংলাদেশ সুবিধা বেশি পাবে, সেখান থেকে কিনবো।
বোয়িং নেওয়ার বিষয়ে আপনাদের অঙ্গীকার আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো বিষয়ে আমরা কারও সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ না। বোয়িং কেনার প্রস্তাব তারা দিয়েছেন, সেটার মূল্যায়ন করে আমরা দেখবো।
একটা টিম আসবে বলেছেন, সেটা কবে আসবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বেসামরিক বিমানে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল আছে, এই টিম যাওয়ার পরে আমরা একটি উপযুক্ত সময়ে আমেরিকার এফএ টিমকে আমন্ত্রণ জানাব। তখন তারা এসে ফাইনালটা দেখবে।
আর এটা চলতি বছরের মধ্যেই হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।