কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে ঢাকা ও টোকিও।
বুধবার বিকেলে বাসসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে কতগুলো বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসস।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে শেখ হাসিনার এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সেখানে তাকে স্বাগত জানান এবং আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রবেশপথে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে জাপান লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।