র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার ছায়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর পড়েনি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর সন জে ম্যাকইনটস। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় একটি হোটেলে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (সিএফআইএসএস) ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন যৌথভাবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক ওই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সক্ষম এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শন ম্যাকিনটস বলেন, ‘প্রতিটি সম্পর্কে কিছু বিষয়ে মতৈক্য হবে এবং কিছু বিষয়ে মতানৈক্য হবে। যখন মতানৈক্য হয়, তখন উভয় পক্ষের কাজ করার সুযোগ বেড়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ না জানানোর কারণ হিসেবে বিভিন্ন জন বিভিন্ন কথা বলছে। তবে আমি কারণ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি যেটি বলতে চাই, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতির যে উন্নতি হয়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সমমনা অংশীদারদের সামনে প্রদর্শনের সুযোগ আছে বাংলাদেশের। ’
তিনি আরো বলেন, সামনে দ্বিতীয় গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন হবে। তখন দেখা যাবে, বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করার বড় সুযোগ আছে বলেও তিনি জানান। ঢাকায় অংশীদারি সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ ইস্যু : এদিকে আগামী রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে অষ্টম অংশীদারি সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংলাপে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুলান্ড।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আসন্ন অংশীদারি সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র পাঁচটি ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে। এগুলো হলো বাণিজ্য, শ্রম ও বিনিয়োগ, মানবাধিকার ও সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক হুমকি, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকসহ আঞ্চলিক ইস্যু ও নিরাপত্তা সহযোগিতা। এবারের সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে থাকার বার্তা মিলবে।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকার ইস্যু নিষেধাজ্ঞা : বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। আসন্ন বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে ওই দেশটির সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।