মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতির বিষয়টিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা হতাশাজনক যে, একজনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীতে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা শুধু যে তার গুণের কারণে হয়েছে সেটি নয়, এর পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিচার চলবে। এটি নিয়ে বিচলিত বা চিন্তিত নই।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পাওনা মুনাফার অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ এনে শ্রম আদালতে ১৮ জন শ্রমিক আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকার শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেল বিজয়ী রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি না— যারা এই আবেদনে শামিল হচ্ছেন, তারা তাদের সুনামের প্রতি সুবিচার করছেন। একটি বিচারকে তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং এটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত, যিনি শত শত হাজার হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন, যার সম্পত্তি আছে, তার আইনগত বিষয় থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তিনি অপরাধী হয়ে যাবেন, বা সেটি তদন্ত করা যাবে না। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি কি আছেন, যার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা যাবে না, বা তদন্ত করা যাবে না?
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) বা তার লোকজন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনও অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন– এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানে (মামলায়) সরকারের প্রভাব অতীতে ছিল না এবং আগামীতেও থাকবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এসময় তিনি জানান, বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সরকার বা দূতাবাসগুলো কথা বলবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যতটুকু জানি ততটুকু তুলে ধরব। একটি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সরকার বা দূতাবাস বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন করে কিছু বলার বা ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
সরকার ও ড. ইউনূসের মধ্যে দূরত্ব আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা ওয়ান-ইলেভেন ঘঠনাপ্রবাহ জানেন। কিন্তু তারপরে ১৫ বা ১৭ বছরে আমাদের দিক থেকে কিছু নেই।