বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অসত্য বক্তব্যে জনগণ হতাশ হয়েছেন। গণতন্ত্রকে ব্যাহত না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা।
রোববার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করছে দাবি করে মেজর হাফিজ বলেন, যেসব উপদেষ্টাদের এ দেশের প্রতি কোনো বাস্তব অবদান নেই, তারা এখন বড় বড় কথা বলছেন। অথচ, যারা অতীতে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারাই এখন আলোচনার বাইরে।
সংস্কার ও বিচার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, এসব কাজ নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হওয়া উচিত। একটা নির্বাচনের জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করা যায় না।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে গিয়ে বললেন, শুধু বিএনপি নাকি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তার এই বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে আমরা সবাই সম্মান করি। কিন্তু তিনি বিদেশে গিয়ে বললেন, শুধু বিএনপি নাকি নির্বাচন চায়, আর কেউ চায় না। তার এই বক্তব্যে আমরা মর্মাহত হয়েছি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। ৫৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চেয়েছে। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন বিলম্ব হলে ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আবারও দ্বিতীয়বারের মতো আলোচনা শুরু করবেন। বিএনপি যাবে, কিন্তু গেলেই বা কি করা যাবে। মিনিমাম যে সংস্কারে সব রাজনৈতিক দলগুলো একমত আছে, তা নিয়ে নির্বাচনমুখী হন।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বিদেশের নাগরিকদের ভুলপথে পরিচালিত করবেন না, জাতিকে বিভক্ত করবেন না। যারা বিতর্কিত উপদেষ্টা তাদের বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।