বকেয়া মজুরি আদায়, চাকুরিচ্যুতি বন্ধ করা ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের আইটি বিভাগের ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পাওনা মজুরি আদায়সহ নানা সমস্যা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক আর আইনি ব্যবস্থা নিয়েও ফল আসেনি। তাই বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
ড. ইউনূস দরিদ্রতা ও বেকারত্বের সুযোগ ব্যবহার করে শ্রমিকদের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন অত্যাচার করে আসছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের কর্মীরা। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে সমস্যা নিয়ে বারবার আলোচনায় বসা হলেও কোনো সমাধানে আসেনি কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে বাঁধা দিতে গত দুইদিন থেকে নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেন শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন, দাবি আদায় না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ও নিউজিল্যান্ডে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হবে। শ্রমিক নেতারা বলেন, বেতনস্কেল সংশোধন করে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতদের পুনরায় চাকরিতে বহাল করতে হবে। সেই সঙ্গে শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আট দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক প্রতিনিধি রেজাউল করিম বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দারিদ্র্য ও বেকারত্বের সুযোগ ব্যবহার করে দক্ষ শ্রমিকদের বিভিন্ন কায়দায় নিয়োগ করেন। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের ভেতর প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে বাংলাদেশ শ্রম আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শ্রমিকদের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন অত্যাচার করে চলেছেন এবং শ্রমিকদের আর্থিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক আমাদের আইটি হিসাব খাতের কাজ করার বিনিময়ে সার্ভিস বিল দিয়ে থাকে। সেখান থেকে আমাদের হাজারো শ্রমিকের বেতন ভাতাদি প্রদান করা হয়। এই প্রক্রিয়াটাকে তারা ‘চুক্তি চুক্তি খেলা’র মাধ্যমে শ্রমিকদের দাস বানিয়ে রেখে মান্ধাতার আমলের দাস প্রথাকে অব্যাহত রেখেছেন। এই চুক্তি চুক্তি খেলা গ্রামীণ ব্যাংক ও আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২৬ বছর ধরে চলে আসছে।